ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8596 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নফল সদকা বা দান যে কাউকে করা যায় বা দেওয়া য়ায়,মুসলিম-অমুসলিম ধনী-গরীব এক্ষেত্রে সবাই সমান, সবাইকে দান করা যায়।তবে ফরজ যাকাত তা শুধুমাত্র গরীব মুসলমানকেই দিতে হবে,অমুসলিমকে যাকাত দিলে যাকাতই আদায় হবে না।
নফল সদকা যদিও সবাইকে দেওয়া যায়,তথাপি নেককার মুত্তাকি পরহেজগার লোক দেখে দেওয়া উত্তম।
হাদিস শরীফে এসেছে...........
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻣﺜﻞ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ، ﻭﻣﺜﻞ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ، ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﻔﺮﺱ ﻓﻲ ﺁﺧﻴﺘﻪ ﻳﺠﻮﻝ، ﺛﻢ ﻳﺮﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﻴﺘﻪ . ﻭﺇﻥ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﻳﺴﻬﻮ ﺛﻢ ﻳﺮﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ . ﻓﺄﻃﻌﻤﻮﺍ ﺍﻃﻌﺎﻣﻜﻢ ﺍﻻﺗﻘﻴﺎﺀ، ﻭﺃﻭﻟﻮﺍ ﻣﻌﺮﻭﻓﻜﻢ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ »
ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﺑﺴﻨﺪ ﺟﻴﺪ، ﻭﺣﺴﻨﻪ ﺍﻟﺴﻴﻮﻃﻲ
তরজমা-
নবী কারীম সাঃ বলেছেনঃ-
মু'মিন এবং ঈমানের পরিছয় হচ্ছে,ঐ ঘোড়ার মত যাকে(ঘাস খাওয়ার জন্য)দড়ি দিয়ে বেধে দেয়া হয়েছিল,কিন্তু সে নির্ধারিত সীমানা থেকে দুরে যাওয়ার জন্য লাফালাফী ও ছুটাছুটি করছে, অতঃপর নিরাশ হয়ে আবার সে নির্ধারিত জায়গায় ফিরে আসছে।
মু'মিন বান্দার দৃষ্টান্ত হইল সেই বেধে রাখা ঘোড়ার মত অর্থ্যাৎ সে মাঝে-মধ্যে ভুল করে বসে,অবশেষে আবার সে ঈমানের দিকে ফিরে আসে।
সুতরাং তোমরা (এই পাপ মোচনস্বরূপ) নেককার লোকদেরকে আহার করাও।এবং মু'মিনদের সাথে তোমাদের দানকে বিষেশায়িত করো।
উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায় যে,নেককার পরহেজগারদেরকে দান করা উত্তম।তবে নেককার পরহেজগার না হলেও সওয়াবে কোনো কমতি আসবেনা যা নিম্নোক্ত হাদিস থেকে বুঝে আসছে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার নফল সদকাহ আদায় হয়ে গেছে।সে ঐ টাকা দ্বারা কোনো শিরকি করলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।বরং আপনি ঠিকই সওয়াব পাবেন।