আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ

গতদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের সালাত আদায় করছিলাম। কলিং বেল বেশ কয়েকবার বাজে।আম্মু বাইরে গিয়ে দেখে এসেছিলেন।আমি নামাজরত ছিলাম।নামাজ শেষে আবার কলিং বেল বাজানো হয়।আম্মুকে জিজ্ঞেস করি কে।কারণ আমার ধারণা ছিল ফকির।আম্মু বললেন সাহায্য চাইতে এসেছে একজন কিন্তু নাটক করছেন/মিথ্যা বলছেন/এরকম কিছু।

যাহোক,আমি হাতে টাকা নিয়ে বের হয়েছি সাহায্য করবো এই নিয়তে।দরজা খুলাতে একজন সম্ভবত অল্প বয়সী যুবক (অন্ধকারে বুঝতে পারিনি ভালো,মনে হয়েছে ২২ বছর হবে) আমাদের দরজায় আসেন। তিনি বলেন তার মা মারা গেছেন তাই টাকা তুলছেন। আমি ভাবলাম হয়তো দাফনের টাকা নেই বা এরকম কিছু।হাতে টাকা থাকাতে সাথে সাথে দিয়ে দেই।আমি এখন নন-মাহরামের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি।তবে আমি তাকে টাকা দিতে দিতে তার মায়ের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করি।তিনি বলেন অসুস্থ ছিলেন তার মা।শেষ।।এরপর তিনি টাকাটা নিলেন তারপর বললেন "আদাব"(অর্থাৎ টাকাটা তার হাতে চলে গেছে already)। কেবল তখনি আমি বুঝতে পারি লোকটা হিন্দু।

এখন আমার প্রশ্ন

১)তার মায়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়াতে কি আমার গুনাহ হয়েছে যেহেতু সে নন মাহরাম?

২) সে যদি তার মাকে পুড়িয়ে ফেলে সেই টাকা দিয়ে বা কোনো শিরকি কাজ করে আমি কি গুনাহগার হবো?

৩)লোকটি যাওয়ার শেষ মূহুর্তে আমি বুঝতে পারি সে হিন্দু তবে তখনো যাননি, হয়তো আমি তাকে থামিয়ে টাকাটা ফিরিয়ে নিতে পারতাম কিন্তু কাজটা উচিত হতো কি না, আসলেই কি করা উচিত ছিলো সে জ্ঞান আমার ছিলো না।নিতে হবে কি না হবে এ নিয়ে ৫/৬ সেকেন্ড ভেবেছি।মনে হয়েছে মুসলিমদের ব্যাপারে বদধারণা হবে,একবার ভালো দিক,একবার মন্দ ইত্যাদি।তারপর দরজা লাগিয়ে চলে এসেছি,

আমার এখন মনে হচ্ছে আমার টাকাটা নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল তবে আমি যদি সত্যিই টাকাটা দেওয়ার আগে জানতাম সে হিন্দু আমি দিতাম না টাকা ইন শা আল্লহ।

আমি জানতে চাই আমার কি গুনাহ হয়েছে টাকা দেওয়াতে?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8596 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নফল সদকা বা দান যে কাউকে করা যায় বা দেওয়া য়ায়,মুসলিম-অমুসলিম ধনী-গরীব এক্ষেত্রে সবাই সমান, সবাইকে দান করা যায়।তবে ফরজ যাকাত তা শুধুমাত্র গরীব মুসলমানকেই দিতে হবে,অমুসলিমকে যাকাত দিলে যাকাতই আদায় হবে না।

নফল সদকা যদিও সবাইকে দেওয়া যায়,তথাপি নেককার মুত্তাকি পরহেজগার লোক দেখে দেওয়া উত্তম।
হাদিস শরীফে এসেছে...........

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻣﺜﻞ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ، ﻭﻣﺜﻞ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ، ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﻔﺮﺱ ﻓﻲ ﺁﺧﻴﺘﻪ ﻳﺠﻮﻝ، ﺛﻢ ﻳﺮﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﻴﺘﻪ . ﻭﺇﻥ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﻳﺴﻬﻮ ﺛﻢ ﻳﺮﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ . ﻓﺄﻃﻌﻤﻮﺍ ﺍﻃﻌﺎﻣﻜﻢ ﺍﻻﺗﻘﻴﺎﺀ، ﻭﺃﻭﻟﻮﺍ ﻣﻌﺮﻭﻓﻜﻢ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ »
ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﺑﺴﻨﺪ ﺟﻴﺪ، ﻭﺣﺴﻨﻪ ﺍﻟﺴﻴﻮﻃﻲ
তরজমা-
নবী কারীম সাঃ বলেছেনঃ-
মু'মিন এবং ঈমানের পরিছয় হচ্ছে,ঐ ঘোড়ার মত যাকে(ঘাস খাওয়ার জন্য)দড়ি দিয়ে বেধে দেয়া হয়েছিল,কিন্তু সে নির্ধারিত সীমানা থেকে দুরে যাওয়ার জন্য লাফালাফী ও ছুটাছুটি করছে, অতঃপর নিরাশ হয়ে আবার সে নির্ধারিত জায়গায় ফিরে আসছে।
মু'মিন বান্দার দৃষ্টান্ত হইল সেই বেধে রাখা ঘোড়ার মত অর্থ্যাৎ সে মাঝে-মধ্যে  ভুল করে বসে,অবশেষে আবার সে ঈমানের দিকে ফিরে আসে।
সুতরাং তোমরা (এই পাপ মোচনস্বরূপ) নেককার লোকদেরকে আহার করাও।এবং মু'মিনদের সাথে তোমাদের দানকে বিষেশায়িত করো।

উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায় যে,নেককার পরহেজগারদেরকে দান করা উত্তম।তবে নেককার পরহেজগার না হলেও সওয়াবে কোনো কমতি আসবেনা যা নিম্নোক্ত হাদিস থেকে বুঝে আসছে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার নফল সদকাহ আদায় হয়ে গেছে।সে ঐ টাকা দ্বারা কোনো শিরকি করলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।বরং আপনি ঠিকই সওয়াব পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...