১। ওজু শেষ পশ্চিম আকাশের দিকে সাহাদাত আঙ্গুল তুলে দুআ বলা বিদআত।
২। দরুদে মাহি, দরুদে হাজারি, দরুদে লাঠি ইত্যাদি দরুদ পড়া বিদআত।
৩। তিন বা পাঁচ লাখ কালেমা খতম করা। (মৃত্যু ব্যক্তির জন্য অথবা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য) বিদআত।
৪। বিশেষ চাহিদা বা মনের আসা পুরনের জন্য ৪০ দিনের যে কোন আমল করা বিদআত।
৫। দুআ ইউনুষ খতম করা বিদআত।
৬। কালেমা খতম করা বিদআত।
৭। মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম দেয়া বিদআত। (কিংবা কালেমা খতম , সূরা ইয়াসীন খতম)
৮। দরুদে ইব্রাহিম(যেটা নামাজের মাঝে বলি) এটা ছাড়া যে কোন ধরনের দুরুদ পড়া বিদআত। যেমনঃ- দরূদে মুকাদ্দাস, দরূদে মাহী , দরূদে তাজ, দরূদে তুনাজ্জিনা, দরূদে নারী, দরূদে সায়াদাত, দরূদে কামালিয়া। আরো অনেক আছে।(কিছু ছোট সহিহ দরুদ আছে সেগুলো জায়েজ?
৯। মিলাদ পড়া বিদআত।
১০। শবে বরাত পালন করা বিদআত।
১১। শবে মেহরাজ পালন করা বিদআত।
১২। হুযুর ডেকে এনে কুরআন খতম পড়া বিদআত।
১৩। হুযুরদের ডেকে এনে খতমে ইউনুস পড়া বিদআত।
১৪। হুজুর ডেকে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের খতম পড়া। যেমনঃ- কালিমা খতম, দরুদ খতম বিদআত।
১৫। দল বেঁন্দে উচ্চসরে যিকির করা বিদআত।
১৬। নামাযে নাওয়াই তুআন পড়া বিদআত।
১৭। নামাযের মুছল্লায় ইন্নি ওয়াজজাহতু পড়া বিদআত।
১৮। দল বদ্ধ ভাবে মুনাজাত করা বিদআত।
১৯। রোযার সময় নাওয়াতুআন আছুম্মাগাদাম পড়া বিদআত।
২০। কদম বুসি করা বিদআত।
২১। ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা বিদআত।
২২। শুক্রবার ৮০ বার দরুদে ইব্রাহিম পড়া বিদআত।
২৩। নাবী (সঃ) কে দাড়িয়ে সালাম দেয়া বিদআত।
২৪। নামাজ শেষে জাইনামাজে চুমু খাওয়া বিদআত।
২৫। ঔষধ খাওয়ার আগে "আল্লাহ্ শাফী..." বলা বিদআত।
২৬। বিবাহ বার্ষিকী পালন করা বিদআত।
২৭। মৃত মা বাবার জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়া বিদআত।
২৮। মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব বিদআত।
২৯। বিভিন্ন মাসের খেয়ালী নামাজ পড়া বিদআত।
৩০। ওজুর সময় প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় আলাদা আলাদা দুআ বলা বিদআত।
৩১। ওজুর পর সূরা কদর পড়া বিদআত।
৩২। আজানের দুআর সাথে "ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ" এই টুকু যোগ করা বিদআত।
৩৩। ফজর নামাজের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ বলা বিদআত।
৩৪। ওযূর পানি পাত্রের মধ্যে পড়লে উক্ত পানি দ্বারা ওযূ হবে না বলে বিশ্বাস করা বিদআত।
৩৫। তারাবিতে চার রাকাত অন্তর দোয়া পরা।
৩৬। তাওবা খতম করা বিদআত।
৩৭। দলবেধে পারা ভাগ করে কোর-আন খতম।
৩৮। সাত সালাম বিদআত।
৩৯। খতমে খাঞ্জেখান বিদআত।
৪০। আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো বিদআত।
৪১। সূরা ইয়াসিন খতম দেয়া বিদআত।
৪২। রমজান মাসে কুরআন পড়ে অন্যর জন্য বক্সিয়ে দেয়া বিদআত।
৪৩। মৃত্যু ব্যক্তি বা অন্য কারো নামে কুরআন খতম করা। রমজান মাসে অথবা অন্য মাসে
৪৪। রমজান মাসে খাবারের হিসেব লাগে না। (এটা আমি নিজেও বুঝিনি। হয়তো আপনারা জেনে থাকবেন।)
- এগুলোর অনেক কিছুই আমরা চারপাশে নিয়মিত ঘটতে দেখি। তাই যদি জানাতেন এই সবগুলো সঠিক তথ্য কিনা, আমরা আমাদের ঈমান রক্ষার্থে আরো সচেষ্ট হতে পারবো ইনশাহআল্লাহ এবং পূর্ববতী অজ্ঞতাবশত ভুলের জন্যে তওবাহ করবো ইনশাহআল্লাহ।