আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (5 points)
edited by
১। ওজু শেষ পশ্চিম আকাশের দিকে সাহাদাত আঙ্গুল তুলে দুআ বলা বিদআত।

২। দরুদে মাহি, দরুদে হাজারি, দরুদে লাঠি ইত্যাদি দরুদ পড়া বিদআত।

৩। তিন বা পাঁচ লাখ কালেমা খতম করা। (মৃত্যু ব্যক্তির জন্য অথবা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য) বিদআত।

৪। বিশেষ চাহিদা বা মনের আসা পুরনের জন্য ৪০ দিনের যে কোন আমল করা বিদআত।

৫। দুআ ইউনুষ খতম করা বিদআত।

৬। কালেমা খতম করা বিদআত।

৭। মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম দেয়া বিদআত। (কিংবা  কালেমা খতম , সূরা ইয়াসীন খতম)
৮। দরুদে ইব্রাহিম(যেটা নামাজের মাঝে বলি) এটা ছাড়া যে কোন ধরনের দুরুদ পড়া বিদআত। যেমনঃ- দরূদে মুকাদ্দাস, দরূদে মাহী , দরূদে তাজ, দরূদে তুনাজ্জিনা, দরূদে নারী, দরূদে সায়াদাত, দরূদে কামালিয়া। আরো অনেক আছে।(কিছু ছোট সহিহ দরুদ আছে সেগুলো জায়েজ?

৯। মিলাদ পড়া বিদআত।

১০। শবে বরাত পালন করা বিদআত।

১১। শবে মেহরাজ পালন করা বিদআত।

১২। হুযুর ডেকে এনে কুরআন খতম পড়া বিদআত।

১৩। হুযুরদের ডেকে এনে খতমে ইউনুস পড়া বিদআত।

১৪। হুজুর ডেকে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের খতম পড়া। যেমনঃ- কালিমা খতম, দরুদ খতম বিদআত।

১৫। দল বেঁন্দে উচ্চসরে যিকির করা বিদআত।

১৬। নামাযে নাওয়াই তুআন পড়া বিদআত।

১৭। নামাযের মুছল্লায় ইন্নি ওয়াজজাহতু পড়া বিদআত।

১৮। দল বদ্ধ ভাবে মুনাজাত করা বিদআত।

১৯। রোযার সময় নাওয়াতুআন আছুম্মাগাদাম পড়া বিদআত।

২০। কদম বুসি করা বিদআত।

২১। ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা বিদআত।

২২। শুক্রবার ৮০ বার দরুদে ইব্রাহিম পড়া বিদআত।

২৩। নাবী (সঃ) কে দাড়িয়ে সালাম দেয়া বিদআত।

২৪। নামাজ শেষে জাইনামাজে চুমু খাওয়া বিদআত।

২৫। ঔষধ খাওয়ার আগে "আল্লাহ্ শাফী..." বলা বিদআত।

২৬। বিবাহ বার্ষিকী পালন করা বিদআত।

২৭। মৃত মা বাবার জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়া বিদআত।
২৮। মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব বিদআত।

২৯। বিভিন্ন মাসের খেয়ালী নামাজ পড়া বিদআত।

৩০। ওজুর সময় প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় আলাদা আলাদা দুআ বলা বিদআত।

৩১। ওজুর পর সূরা কদর পড়া বিদআত।

৩২। আজানের দুআর সাথে "ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ" এই টুকু যোগ করা বিদআত।

৩৩। ফজর নামাজের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ বলা বিদআত।

৩৪। ওযূর পানি পাত্রের মধ্যে পড়লে উক্ত পানি দ্বারা ওযূ হবে না বলে বিশ্বাস করা বিদআত।

৩৫। তারাবিতে চার রাকাত অন্তর দোয়া পরা।

৩৬। তাওবা খতম করা বিদআত।

৩৭। দলবেধে পারা ভাগ করে কোর-আন খতম।

৩৮। সাত সালাম বিদআত।

৩৯। খতমে খাঞ্জেখান বিদআত।

৪০। আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো বিদআত।

৪১। সূরা ইয়াসিন খতম দেয়া বিদআত।

৪২। রমজান মাসে কুরআন পড়ে অন্যর জন্য বক্সিয়ে দেয়া বিদআত।

৪৩। মৃত্যু ব্যক্তি বা অন্য কারো নামে কুরআন খতম করা। রমজান মাসে অথবা অন্য মাসে

৪৪। রমজান মাসে খাবারের হিসেব লাগে না। (এটা আমি নিজেও বুঝিনি। হয়তো আপনারা জেনে থাকবেন।)

- এগুলোর অনেক কিছুই আমরা চারপাশে নিয়মিত ঘটতে দেখি। তাই যদি জানাতেন এই সবগুলো সঠিক তথ্য কিনা, আমরা আমাদের ঈমান রক্ষার্থে আরো সচেষ্ট হতে পারবো ইনশাহআল্লাহ এবং পূর্ববতী অজ্ঞতাবশত ভুলের জন্যে তওবাহ করবো ইনশাহআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1286 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যেমন ডাক্তারের সাজেশন অনুপাতে ঔষধ সেবন। তা’ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুপাতে পথ্য সেবন যেমন হারাম ও বিদআত নয়, তেমনি কতিপয় দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ উপরোক্ত খতম পড়াও হারাম বা বিদআত নয়।
হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। কেননা দু'আয়ে ইউনুস হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলে ও সংখ্যা কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে,বিপদআপদ থেকে মুক্তি ও মাকসাদ হাসিল করতে উক্ত দু'আ যদি কেউ ঈমান ও ইয়াকিনের সাথে পড়ে তবে তার মাকসাদ পূর্ণ হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো সময় বা সংখ্যা হাদীসে নির্ধারিত নেই।যে কোনো সময়ই পড়া যাবে।এবং যত ইচ্ছা পড়া যাবে।এক্ষেত্রে কোনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যাকে সুন্নাত মনে করা যাবে না।এটা বেদাআত হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যায় না পড়লে দু'আ কবুল হবে না এবং পড়লে দু'আ কবুল হবে, এরকম আকিদা-বিশ্বাস পরিত্যাগ করে যদি কেউ পূর্ববর্তী বুজুর্গানে কেরামদের তরিকাকে গ্রহণ করে তবে তা অবশ্য নিন্দনীয় হবে না।

নির্দিষ্ট সংখ্যা বিভিন্ন খতম পড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1145

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এ সকল কাজকে তার সীমারেখার ভিতর করলে বিদ'আত হবে না।নতুবা বিদ'আত হয়ে যাবে।আপনি ইডিট করে প্রত্যকটির নাম্বার দিয়ে দেন। ইনশা আল্লাহ পরবর্তীতে আমি নাম্বার সহকারে জবাব দেবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ , আমি নাম্বার দিয়ে দিয়েছি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...