আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
১/নাপাক জিনিস স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করলে কি পাক হবে?

২/ কোনো আসবাবপত্রে যদি অনেকদিন আগে যদি নাপাকি লাগে,,,, যদি শরীয়াহসম্মতভাবে পবিত্র করা হয়নি,,শুধু পরিষ্কার করা হয়েছে,,,,,এমনভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে যে তাতে নাপাকি লেগে আছে এমন কোন আলামত নেই,কোন গন্ধ নেই,,,ভেজা টিস্যু  বা ভেজা কাপড় দিয়ে বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করা হয়েছে!!!এখন কি সেটি পবিত্র?

৩/// শরীয়াহ-তে নাপাক জিনিস পবিত্র করার যে পদ্ধতি আছে,,,,,তা বাদে অন্য পদ্ধতি দিয়ে যদি নাপাক জিনিস পরিষ্কার করা হয় তাহলে কি সে বস্তু নাপাক?যদিও এমনভাবে পরিষ্কার করা হয় যে তাতে নাপাকির বিন্দুমাত্র আলামত নেই!!!

৪/কাজের মানুষ দিয়ে কাপড় ধোয়ালে সে কিভাবে ধুয়েছে তা জানা না থাকলে এবং কাপড় পবিত্র হয়েছে কিনা সন্দেহ থাকলে করণীয় কি?যদি অন্য কোন নাপাক কাপড়ের সাথে ধোয়া হয় তবে করণীয় কি?

৫// যদি এক নাপাক কাপর্ একবার ধোয়া হয় এবং দ্বিতীয়বার আরও অনেক কাপড়ের সাথে ধোয়া হয় তবে কি অন্য কাপড়গুলোও নাপাক হবে?

৬//শরীরের কোন জায়গায় পেশাব বা অন্য নাপাকি লাগলে টিস্যু দিয়ে মুছলে কি পবিত্রতা অর্জিত হবে?

৭///যদি পেশাব করার পর টিস্যু দিয়ে মুছে পবিত্রতা অর্জন করা হয় এবং যে জায়গা মুছা হয়েছে তাতে পানি লাগলে কি নাপাক হবে?

৮/// অনেক জিনিসকে নাপাক মনে হয় কিন্তু সেগুলো নাপাক হওয়ার কোন প্রমাণ নেই!!! এক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নাপাক জিনিসকে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করলে পাক পবিত্র হয়ে যাবে।

(২)
আসবাবপত্রে যদি দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে, এবং বর্তমানে ঐ দৃশ্যমান নাজাসত না থাকে, তাহলে ঐ আসবাবপত্রকে পবিত্র হিসেবেই ধরে নেয়া হবে।কিন্তু যদি আসবাবপত্রে অদৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে,তাহলে নিয়ম মেনে তিনবার ধৌত করা না হয়ে থাকলে, বর্তমানে সেই শুকিয়ে যাওয়া আসবাবপত্র নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩)
অদৃশ্যমান নাজাসত লেগে যাওয়া কোনো কাপড়কে সর্বমোট তিনবার ধৌত করা না হলে, সেই কাপড় নাপাক বলেই বিবেচিত হবে। উক্ত কাপড়কে যতই পরিস্কার করাই হোক না কেন? নিয়ম না মানার কারণে সেই কাপড় নাপাক বলেই বিবেচিত হবে।

কিন্তু দৃশ্যমান নাজাসত লেগে থাকলে, সেই কাপড় বা আসবাবপত্র থেকে নাজাসত দূর হয়ে গেলেই কাপড় বা আসবাবপত্র পবিত্র হয়ে যাবে।

(৪)
সতর্কতামূলক কাজের লোকের ধৌত করা কাপড় দ্বারা নামায পড়া যাবে না। কেননা তারা ধৌত করার মূলনীতিকে ফলো করে না। বিশেষকরে নাপাক কাপড়ের সাথে ধৌত করলে পবিত্র কাপড়ও নাপাক হয়ে যায়।

(৫)
যদি তাকে অদৃশ্যমান নাজাসত থাকে, তাহলে অন্যসব কাপড়ও নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৬)
শরীরের কোন জায়গায় পেশাব বা অন্য নাপাকি লাগলে টিস্যু দিয়ে মুছলেও পবিত্রতা অর্জিত হবে।

(৭)
যদি পেশাব করার পর টিস্যু দিয়ে মুছে পবিত্রতা অর্জন করা হয় এবং যে জায়গা মুছা হয়েছে তাতে পানি লাগলে, নাপাক হবে না। কেননা শরীর নাজাসতকে চুষে নিতে পারে।তাই পরিবর্তী পানি দ্বারা শরীর অপবিত্র হবে না।

(৮)
যদি নাপাক হওয়ার কোনো প্রমাণ হাতে না থাকে, তাহলে উক্ত জিনিষকে নাপাক বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...