আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্। আমি ২০২১ সালে এসএসসি দিলাম। রেজাল্ট আলহামদুলিল্লাহ গোল্ডেন এ+। ক্লাস টেন এ পড়তে আমি সহশিক্ষা হারাম এই বিসয়টা জানতে পারি। তখন থেকেই আর সহশিক্ষায় পড়ার ইচ্ছা ছিলো না। আমি যেহেতু গার্লস স্কুলে পড়তাম তাই এসএসসি টা দিয়ে দিই। তারপর আমার ইচ্ছা ছিলো মাদরাসায় পড়ার। মাদরাসা খুঁজতে গিয়ে মারকাযুন নাহদা সম্পর্কে জানতে পারি। ওদের তিন বছরের ডিপ্লোমা ইন ইসলামি শারিয়াহ অফলাইন কোর্সের সিলেবাসটা আমার ভালো লাগে। তখন থেকে ওখানেই পড়ার ইচ্ছা ছিলো। এসএসসির আগেই ভাইয়াকে বলসিলাম এই বিষয়ে। ভাইয়া এসএসসির পর কথা বলতে চাইসিলো। এস এসসির পর ভাইয়া আমাকে অনেক কিছু বুঝায় জেনারেলেই পড়তে বলসিলো। আমার পরিবারে আলহামদুলিল্লাহ সবাই মোটামুটি ইসলামিক। কিন্তু ভাইয়া আব্বু আম্মু সবারই একটা ধারণা যে "মাদরাসাগুলোতে এখন আর প্রকৃত দ্বীন শিখায় না। সেখানে শুধু মাসালা মাসায়েল শিখায় কিন্তু দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা বিষয়ে কিছু শিখায় না। বাতিলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শিখায় না। তারপর আবার যালিম সরকারের দেশে কোনো মাদরাসায় আমি সঠিক দ্বীন শিখতে পারবো না কারণ এই সিলেবাস সরকার দ্বারা পরিচালিত। এটা শুধু একটা সিলেবাস, এটা পরিপূর্ণ দ্বীন হতে পারে না। এরা শুধু ব্যক্তিগত আমল নিয়ে পড়ায় কিন্তু একটা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যেই ইসলাম জানা জরুরি সেটা জানায় না। তাই তারা মাদরাসা শিক্ষাটাকে অতোটা সাপোর্ট করে না। আবার দায়ী হওয়ার জন্য জেনারেলের শিক্ষাটাও দরকার, এতে করে মানুষ সম্মান করবে বেশি, তাদেরকে দাওয়াত দিলে তারা শুনবে। আর দাওয়াতি কাজ না করলে, সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছে না দিলে আমাকে এর জন্য কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। " এসব নানা ধারণার জন্য তারা আমার মাদরাসা শিক্ষাটাকে সাপোর্ট করতেসে না। ওরা আমাকে জেনারেলের পাশাপাশি অনলাইনে দ্বীনি ইলম অর্জন করতে বলতেসে। আমি ইস্তিখারা করসিলাম এই বিষয়ে। ইস্তিখারা করার পর আমার মন মারকাযুন নাহদাতেই টানতেসিলো। কিন্তু আমার বাবা-ভাই আমাকে পড়তে দিবে না এই বিষয়টা বুঝতে পেরে আমি কলেজে পড়ার জন্য মনোস্থির করি। চয়েস দিয়ে প্রাইভেটও শুরু করি। কিন্তু আমি মন বসাতে পারতেসিলাম না। ইদানিং আমার আমলের পরিমাণও একটু কমে গেছে। আমার খুব অস্থির অস্থির লাগতেসে। আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করতেসে না কলেজে পড়তে৷ আমার শুধু মাদরাসার দিকেই মন টানতেসে। সেখানে দ্বীন নিয়ে পড়বো, একটা দ্বীনি পরিবেশে থাকবো। আমার খুব কষ্ট লাগতেসে আমি মাদরাসায় পরতে পারছি না, দ্বীনের জন্য বেশি সময় দিতে পারতেসিনা তাই। আমি কি করবো কিছু বুঝতেসিনা।
আমি এই বিষয়ে কোনো আলেমের সাথে পরামর্শ করবো তারও কোনো উপায় নেই। এদিকে আশেপাশে কোনো ভালো আলেমের খোঁজ জানা নেই। তাই আপনাদেরকে বললাম। আমাকে কি বলতে পারবেন, আমার এখন কি করা উচিৎ?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার প্রশ্নের জবাব বুঝার পূর্বে দুয়েকটি মাস'আলা ও মূলনীতি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

প্রথমত শিক্ষাগ্রহণ সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি?
জবাবে বলা যায়,শিক্ষাগ্রহণ দুই প্রকার,(১)ফরযে আইন, যা ছাড়া দ্বীন ইসলাম পালন করা সম্ভব নয়,ইহাই মূলত ফরযে আইন শিক্ষা।এ শিক্ষা গ্রহণ না করলে জবাবদিহিতা করতে হবে।(২)ফরযে কেফায়া শিক্ষা,যাকে আমরা জেনারেল শিক্ষা বলতে পারি।তথা দুনিয়ার নেজামকে বাকী রাখতে যে সব শিক্ষার প্রয়োজন,যেমন কৃষি,চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি শিক্ষা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1893

শুধুমাত্র বৈধ ও নেক কাজে মাতাপিতার বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।অবৈধ কাজে মাতাপিতার বিধিনিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়।বরং এক্ষেত্রে গোনাহ হবে।
কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।
(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

মাতাপিতার বিধিনিষেধকে মান্য করার সাীমারেখা কতটুকু? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1723

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রতি আমাদের বিশেষ পরামর্শ হল, আপনি দ্বীন ও ইসলাম এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করবেন।পাশাপাশি অনলাইন মাদরাসায়ও লেখাপড়া করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কিন্তু এক্ষেত্রে আমার ইমান নিয়ে সংশয়ে আছি। প্রথমতো আমার ইমান খুবই দুর্বল তার ওপর বাইরে বের হলেই চোখের যিনা।  আমার ইবাদাতকে খুব ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি আমার ইবাদাতে স্বাদ পাই না। আমার খুব একটা সময়ও পাই না পড়ালেখার জন্য। আমার জীবন পরিচালনার জন্য যেটুকু ইলম প্রয়োজন তাও অর্জন করার সু্যোগ পাচ্ছিনা। এই লাইনে আমি আমার ইমান ধ্বংস হওয়ার ভয় করি (আল্লাহ না করুন)। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...