আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
কাল রাতে দুটো স্বপ্ন দেখি রাতে ঘুমের সময়।

১. মামার মাথা ব্যথা হওয়ায় তার মাথা টিপে দিতে গিয়ে দেখি করমচা গাছে ৩টা সবুজ সাপ। সাপ ৩টাকে মামা মারলে হঠাৎ এক টিকটিক গাছ থেকে নিজে পড়ে। আর ওটাকে মামা অনেক মেরেছে কিন্তু মারতেই পারলো না। পরে আমি এক আঘাতেই মেরে দেই।
২.  আমি আর দুই বান্ধবি হাটতে গিয়ে পার্কে অনেক ভীড়। অন্যদিকে যাবো ভেবে বান্ধবিকে বললাম অন্য দিকে যাই৷ হঠাৎ তখনি সবাই চুপ। তারপর সামনে আগায় গেলে একজন আল্লাহ ওয়ালা ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে কাদছে আর বলছে 'আমি আমার ছেলের ওপর বিরক্ত হয়ে বদ দোয়া করতাম। আর আজ দেখলাম আমার ছেলেকে জীন তার শরীরকে বিকল করে দিলো। আপনারা কেউ সন্তানকে বদদোয়া করবেন না।'  কি বদদোয়া করেছে এর লিস্ট করে করে  সবাইকে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাকে দেন নি। পাশে এক ছেলে, দ্বীনদার আল্লাহ ওয়ালাকে এত্তো এত্তো ডেকে বললাম কি আছে লিস্টে, কিন্তু ছেলেটি কোনো উত্তর ই দিলো না। কারণ, সে অনেক আল্লাহ ওয়ালা ছিল। তাই আর আমি জানতেও পারলাম না কি বদদোয়া দিয়েছিলেন তিনি!

এই স্বপ্নগুলির ব্যাখ্যা কি হজরত? আর ব্যাখ্যায় খারাপ কিছু আসলে তা কি ঘটার সম্ভাবনা থাকে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
(০১) ★★প্রিয় দ্বীনি ভাই বোন!
কেহ যদি স্বপ্নে দেখে যে সে সাপকে মেরে ফেলেছে।
তাহলে এই স্বপ্নটি মুবারক স্বপ্ন।
 আল্লাহ তায়ালা দুশমনের উপর আপনাকে বিজয় দান করবেন।
এবং দুশমনের যাবতীয় খারাবী থেকে হেফাজত  করবেন।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৪/৬৪৭,তা'বিরুর রু'য়া ৫২০ )
{আল্লামা ইবনে সীরিন রহঃ এমনটাই বলেছেন।

{সেই হিসেবে অর্থ এটা দাড়ায় যে আপনার মামা যেহেতু সাপটিকে মারতে পারেনি,তাই দুশমনের কাছ থেকে তাকে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে।}
,
(০২) স্বপ্নের ৩ প্রকারের মধ্যে এটি ৩ নং প্রকার।
এগুলো আপনার কল্পনা মাত্র।
তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
,
উল্লেখ্য যে সন্তান যাই করুক না কেনো,পিতা মাতার জন্য উচিত নয় যে সে তার সন্তানের জন্য বদ দুয়া করবে।
,
কারন হাদীসে এসেছে যে  আল্লাহ তায়ালা পিতা মাতার দোয়া  কবুল করেন।

বদ দুয়া করা হলেও তা কবুল করবেন।তাই সন্তানের জন্য কখনোও বদ দুয়া করা যাবেনা।
আল্লাহ হেফাজত করুন। 
আমিন  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...