ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রোযার একটি সুন্নাত হলো সাহরী খাওয়া।
কেহ যদি সাহরী না খেয়ে রোযা রাখেন,তাতেও রোযা আদায় হয়ে যাবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাজা রোযা সাহরী না খেয়েও করতে পারবেন।
ফজরের সময়ের নিয়ত যথেষ্ট হবে।
,
(০২)
নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان ربي الأعلى
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে রুকুতে গিয়ে বলতেন:
سبحانك اللهمّ ربنا وبحمدك اللهمّ اغفر لي
‘সুবহানাকাল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি।’
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব্ব! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দিন।)[সহিহ বুখারী (৭৬১) ও সহিহ মুসলিমে (৪৮৪) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি রুকু সেজদায় তাসবিহ পাঠ না করে হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সেজদার তাসবিহ পাঠ করবেননা।
,
(০৩)
হ্যাঁ কুরআন আর হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যাবে। এক্ষেত্রে আরবি দোয়াটা বলতে হবে।
,
(০৪)
না,বাংলায় বলা যাবেনা।
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।
নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
আরো জানুনঃ