আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
edited by

বাবা ব্যাংক থেকে ইন্টেরেস্ট নিতেন রেগুলার,এখন তাকে বুঝিয়ে বিরত করার চেষ্টা করছি এবং যতদুর সম্ভব সদকাহ করে দিতেও রাজি করানোর চেষ্টা করছি,মায়ের ভাই এবং আত্মীয় রা রেগুলার কিছু হাতখরচ দিতেন যা মা সঞ্চয় করতেন। এই সঞ্চিত টাকা সমুহ এবং বাবাও প্রতি মাসে কিছু খরচ দিতেন (বাবা আগে প্রবাসী ছিলেন,বর্তমানে গ্রামে জীবিকা নির্বাহের স্বল্প ব্যবস্থা করেছেন) দুই প্রকারের হালাল হারাম অর্থ মিশ্রিত হয়ে গেছে এটা নিশ্চিত (পড়ালেখার সুবাদে ১০ বছরের বেশি সময়  নানার বাসায় অবস্থান করছি,২ বছর আগে অব্দি মা আমার সাথে ছিলেন,এখন বাবার কাছে গ্রামে বাস করেন,আমার কোন ইনকাম এখনো নেই,বয়স ১৯)

ফলে আমার বর্তমান জামা কাপড় যা গত ২-৩ বছর ধরে উপরোক্ত মিশ্রিত টাকায় ক্রয় করা হয়েছে তা নিয়ে আমি চিন্তিত,সেগুলো নিয়ে করা আমার ইবাদত,দোয়া কবুল হবে কিনা তা নিয়ে শংকিত,কিছুর জন্যে ক্রয় মুল্য সমপরিমান টাকা সদকাহ করেছি,বাকি জামা কাপড় অনেক গুলো পরিত্যাগ করেছি,যেগুলো হালাল টাকায় কেনা বলে মনে হচ্ছে তা পরিধান করবো আপাতত ইনশা'আল্লাহ।

কিন্তু অন্যান্য সকল নিত্যদিনের সামগ্রী যেমন বিছানার চাদর,বালিশ,কাথা,তোষক,টেবিল ফ্যান,মাল্টিপ্লাগ এগুলোও মা ওই টাকায় ক্রয় করে দিয়ে গেছেন এতদিন যাবৎ,সব কাপড়,সামগ্রী মিলিয়ে হিসাব করলে প্রায় ১০ হাজারের উপর চলে আসে যা আমার বাবা মায়ের কাছে এখনই চাওয়া যাচ্ছেনা এবং আমার নিজের পক্ষ থেকেও সদকাহ করা অসম্ভব,এখন আমার করণীয় কি,হারাম পোশাক ছেড়ে দিলেও অন্যান্য বস্তু সামগ্রী ব্যবহারের জন্যে কি আমার ইবাদত,দোয়া কবুলে সমস্যা হবে?

১. ব্যাপারে না বুঝে, অন্তরে উপলব্ধির অভাবে যতদিন হারাম পোশাক পড়ে,এসব সামগ্রী ব্যবহার করে দোয়া ইবাদত করেছি সেগুলো কি বাতিল হয়ে যাবে?

২. যখনই কিছু হালাল টাকা হাতে আসবে তখন এসবের ক্রয়মুল্য অনুসারে কিছু কিছু করে সদকাহ করার নিয়ত আছে আমার,এভাবে অন্তরে নিয়ত রেখে এবং সুযোগ অনুসারে সদকাহ করতে থাকলে বাধ্য হয়ে এসব কাপড়,বস্তু ব্যবহার করলে আমার  ইবাদত,দোয়া,অন্যান্য নরমাল সাদকাহ গুলো কি কবুলিয়ত পাবে? 

৩. এরুপ মিশ্রিত টাকায় কেনা এক শ্যাম্পুর বোতলের সাথে একটি তোয়েল(Towel) ফ্রি দিয়েছিলো,এটি ব্যবহার করতেও কি কোনরুপ সাদকাহ করতে হবে নাকি ফ্রি পেয়েছিলাম বলে কোন সমস্যা হবেনা?

সুদের ব্যাপারে আমার নিজের জ্ঞান হয়েছে ৫ মাসের মত হবে,আগে পরিবারের কাউকে এই ব্যাপারে কখনো কথাও বলতে দেখিনি।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হারাম সম্পদ ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কিছুই কবুল হয়না।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত তথ্য দ্বারা বুঝা যায় যে আপনার বাবার টাকার মধ্যে হারাম টাকার অংশ খুবই কম।

(০১)
সেই ইবাদত গুলি বাতিল হবেনা।
আপনি সুনিশ্চিত থাকুন।

(০২)
হ্যাঁ কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
ঐ শ্যাম্পুতে যত টাকা হারাম মিশ্রিত ছিলো,সেই পরিমান টাকা দান করে দিবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 52 views
...