বাবা ব্যাংক থেকে ইন্টেরেস্ট নিতেন রেগুলার,এখন তাকে বুঝিয়ে বিরত করার চেষ্টা করছি এবং যতদুর সম্ভব সদকাহ করে দিতেও রাজি করানোর চেষ্টা করছি,মায়ের ভাই এবং আত্মীয় রা রেগুলার কিছু হাতখরচ দিতেন যা মা সঞ্চয় করতেন। এই সঞ্চিত টাকা সমুহ এবং বাবাও প্রতি মাসে কিছু খরচ দিতেন (বাবা আগে প্রবাসী ছিলেন,বর্তমানে গ্রামে জীবিকা নির্বাহের স্বল্প ব্যবস্থা করেছেন) দুই প্রকারের হালাল হারাম অর্থ মিশ্রিত হয়ে গেছে এটা নিশ্চিত (পড়ালেখার সুবাদে ১০ বছরের বেশি সময় নানার বাসায় অবস্থান করছি,২ বছর আগে অব্দি মা আমার সাথে ছিলেন,এখন বাবার কাছে গ্রামে বাস করেন,আমার কোন ইনকাম এখনো নেই,বয়স ১৯)
ফলে আমার বর্তমান জামা কাপড় যা গত ২-৩ বছর ধরে উপরোক্ত মিশ্রিত টাকায় ক্রয় করা হয়েছে তা নিয়ে আমি চিন্তিত,সেগুলো নিয়ে করা আমার ইবাদত,দোয়া কবুল হবে কিনা তা নিয়ে শংকিত,কিছুর জন্যে ক্রয় মুল্য সমপরিমান টাকা সদকাহ করেছি,বাকি জামা কাপড় অনেক গুলো পরিত্যাগ করেছি,যেগুলো হালাল টাকায় কেনা বলে মনে হচ্ছে তা পরিধান করবো আপাতত ইনশা'আল্লাহ।
কিন্তু অন্যান্য সকল নিত্যদিনের সামগ্রী যেমন বিছানার চাদর,বালিশ,কাথা,তোষক,টেবিল ফ্যান,মাল্টিপ্লাগ এগুলোও মা ওই টাকায় ক্রয় করে দিয়ে গেছেন এতদিন যাবৎ,সব কাপড়,সামগ্রী মিলিয়ে হিসাব করলে প্রায় ১০ হাজারের উপর চলে আসে যা আমার বাবা মায়ের কাছে এখনই চাওয়া যাচ্ছেনা এবং আমার নিজের পক্ষ থেকেও সদকাহ করা অসম্ভব,এখন আমার করণীয় কি,হারাম পোশাক ছেড়ে দিলেও অন্যান্য বস্তু সামগ্রী ব্যবহারের জন্যে কি আমার ইবাদত,দোয়া কবুলে সমস্যা হবে?
১. এ ব্যাপারে না বুঝে, অন্তরে উপলব্ধির অভাবে যতদিন হারাম পোশাক পড়ে,এসব সামগ্রী ব্যবহার করে দোয়া ইবাদত করেছি সেগুলো কি বাতিল হয়ে যাবে?
২. যখনই কিছু হালাল টাকা হাতে আসবে তখন এসবের ক্রয়মুল্য অনুসারে কিছু কিছু করে সদকাহ করার নিয়ত আছে আমার,এভাবে অন্তরে নিয়ত রেখে এবং সুযোগ অনুসারে সদকাহ করতে থাকলে বাধ্য হয়ে এসব কাপড়,বস্তু ব্যবহার করলে আমার ইবাদত,দোয়া,অন্যান্য নরমাল সাদকাহ গুলো কি কবুলিয়ত পাবে?
৩. এরুপ মিশ্রিত টাকায় কেনা এক শ্যাম্পুর বোতলের সাথে একটি তোয়েল(Towel) ফ্রি দিয়েছিলো,এটি ব্যবহার করতেও কি কোনরুপ সাদকাহ করতে হবে নাকি ফ্রি পেয়েছিলাম বলে কোন সমস্যা হবেনা?
সুদের ব্যাপারে আমার নিজের জ্ঞান হয়েছে ৫ মাসের মত হবে,আগে পরিবারের কাউকে এই ব্যাপারে কখনো কথাও বলতে দেখিনি।