ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য প্রতিদিন ৫
ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আর এ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করাও ফরজ। প্রত্যেক
ওয়াক্ত নামাজের জন্যই নির্ধারণ করা আছে। ওয়াক্ত বা সময় চলে গেলে সে নামাজের কাজা
আদায় করা যায়। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
فَإِذَا
قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ
جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ
كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ
কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে। (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ওয়াক্ত
হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়েছেন। তাই কোনো শরয়ি প্রয়োজন ছাড়া এক
ওয়াক্তের নামাজ অন্য ওয়াক্তে পড়া শুদ্ধ নয়।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ঘোষণা করেছেন নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়কে সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু
আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম; কোন আমলটি সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়? তিনি বলেন, ‘নামাজকে তার সময় মতো (নির্ধারিত সময়ে)
আদায় করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখন ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় ৫ টা ২৩ মিনিটের দিকে। সুতরাং আপনি যদি এর পূর্বে
নামাজ শুরু করে থাকেন ( আপনার কথার দ্বারা বুঝা যায় তাই করেছেন) তাহলে আপনার নামাজ
হয়নি। কারণ, আপনি ওয়াক্ত আসার পূর্বেই নামাজ শুরু
করেছেন বা পড়েছেন। তাই আপনি উক্ত নামাজ
কাযা করে নিবেন।