আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ , উস্তাদজী

১/ উস্তাদজী , ইমোতে স্বামী ও কল দিয়েছে এবং মা ও কল দিয়েছে , মা আগে কল দিয়েছে ।
অনেক পরে এসে দেখলাম দুজনে কল দিয়েছে উপরোক্ত ভাবে ,
তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ ক্ষেত্রে আমার কাকে আগে কল দিয়ে কথা বলা উত্তম হবে?
২/ কাগজ কেটে প্রজাপতি বানিয়েছি এতে চোখ অঙ্কণ করা হয়নি কিন্তু বোঝা যাচ্ছে প্রজাপতি জাতীয় কিছু একটা , ওটা যদি ঘরে লাগানো হয় তবে কি ঐ ঘরে নামাজ আদায় হবে ?
৩/ নাকে একটা ছিদ্র শুরু তে একটু গোশ বেড়েছে , নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় না , কোন সমস্যা নেই, শুধু মাত্র দেখতে একটু অসুন্দর , এখন এটা কি অপারেশন করে কেটে ফেলা যাবে? গোনাহ হবে কোন?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথমে স্বামীকে কল দিবেন।
তবে এক্ষেত্রে যদি স্বামীর সাথে অধিক প্রয়োজনীয় কথা না থাকে,  মায়ের সাথেই যদি অধিক প্রয়োজনীয় কথা থাকে,তাহলে মাকে কল দিবেন। 
অন্যথায় তথা কাহারো সাথেই যদি প্রয়োজনীয় কথা না থাকে,তাহলে স্বামীকেই কল দিবেন।
স্বামীই অগ্রাধিকার পাবে।  
,
অধিক প্রয়োজনীয় কথা থাকায় মাকে আগে ফোন দিলে ফোনে বেশি সময় কথা না বলে শুধু প্রয়োজনীয় কথা বলে  তাকে একটু বুঝিয়ে ফোন রেখে স্বামীকে ফোন দিবেন।

যদি মা স্বামী উভয়ের সাথেই জরুরি কথা থাকে,তাহলে আগে স্বামীকে ফোন দিবেন। 

(০২)
ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ

“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)

ইবনে ‘আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী মাইমূনাহ রা. আমার নিকট বর্ণনা করেন:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জিবরাঈল আলাহিস সালাম আমার সাথে রাতে সাক্ষাত করার ওয়াদা করেছিলেন কিন্তু সাক্ষাত করেননি।
অতঃপর তাঁর মনে পড়লো যে, আমাদের খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা আছে। তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলে তা বের করা হলো। অতঃপর তিনি নিজেই পানি দিয়ে সে স্থানটা ধুয়ে ফেলেন।
এরপর জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাতের সময় বললেন: “যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।”
সকালবেলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর মারতে আদেশ দিলেন। এমনকি ছোট বাগান পাহারার কুকুর হত্যা করারও আদেশ দেন, বড় বাগানের পাহারাদার কুকুর ছাড়া।
(সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ-৪৭ ছবি সম্পর্কে, হা/৪১৫৭-সহিহ)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, জাবের রা. বলেন,

نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصُّورَةِ فِي البَيْتِ، وَنَهَى عَنْ أَنْ يُصْنَعَ ذَلِكَ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ছবি রাখতে ও ছবি অঙ্কন করতে নিষেধ করেছেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস  ১৭৪৯)

আর প্রাণীর ছবির মূলই হল তার মাথার অংশ। যা দ্বারা প্রাণীর পূর্ণ রূপ ও পরিচয় স্পষ্ট হয়।

ইকরিমা রাহ. বলেন,
إِنَّمَا الصُّورَةُ الرَّأْسُ ، فَإِذَا قُطِعَ فَلاَ بَأْسَ.

ছবির মূল হল মাথা। মাথা যদি কেটে দেয়া হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২৫৮০৮)

তাই মাথার অংশ কেটে বা মুছে দিলে তা আর ছবির হুকুমে থাকে না। কিন্তু মাথা ও চেহারা না মুছে শুধু চোখ মুছে দিলে প্রাণীর আকৃতি ও পরিচয় বাকি থাকে। তাই তা ছবির হুকুমেই থাকে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত প্রজাপতির যেহেতু মাথা আছে,সুতরাং সেটি ছবির হুকুমে। 

এর ছবি যুক্ত ঘরে যেহেতু নামাজ পড়া মাকরুহ।
তাই উক্ত ঘরেও নামাজ পড়া মাকরুহ হবে।

আরো জানুনঃ 

(০৩)
না,এতে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...