শরিয়ত সম্মত কবর দুই প্রকার: ১, লাহদ বা বগলী ২,শাক্ক বা সিন্দুকী।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: اللَّحْدُ لَنَا وَالشَّقُّ لَغَيْرِنَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লাহদী কবর আমাদের জন্য। আর শাক্ক্ (সিন্ধুকী) কবর আমাদের অপরদের জন্য।
আবূ দাঊদ ৩২০৪, আত্ তিরমিযী ১০৪৫, নাসায়ী ২০০৯, ইবনু মাজাহ্ ১৫৫৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৭১৮, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৫৪৮৯।
লাহদ বা বগলী কবরের বিবরণঃ লাশ যতটুকু লম্বা হয় কমপক্ষে তার অর্ধেক বা আরো বেশি খনন করার পর পশ্চিম দিকে একটি বাক্সের মত গর্ত খনন করবে, যাতে করে তাতে লাশ রাখা যায়। সেখানে লাশটা রাখার পর পশ্চিম দেকের গর্তটা কোনকিছু দিয়ে বন্ধ করে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিবে।
শাক্ক বা সিন্দুক কবরের বিবরণঃ প্রথমে মৃতব্যক্তির সিনা বা কাঁধ বরাবর বা আরো বেশি খনন করার পর খালের ন্যায় ছোট একটি গর্ত খনন করবে এবং তাতে মৃত ব্যাক্তিকে রাখবে এবং ঐ ছোট গর্তের উপরে বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে মাটি দিবে। (ফাতওয়ায়ে শামিঃ ৩/১৩৯,আহসানুল ফাতওয়াঃ ৪/২২৪ )।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরে উল্লেখিত দুই প্রকার কবরের মধ্যে লাহদ তথা বগলী কবর বানানো উত্তম। আর যদি মাটি নরম হওয়ার কারণে লাহদ কবর বানানো সম্ভব না হয় বা বানানোর সাথে সাথে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা থাকে তাহলে শাক কবর বানানোও জায়েজ আছে।
উল্লেখ্য যে, আমাদের এলাকায় যে পদ্ধতিতে কবর খনন করা হয়, অর্থাৎ প্রথমে অর্ধহাত বা তার থেকে কিছু বেশি খনন করার পর হালকা একটু ছোট করে তিন হাত বা সমপরিমান আরো খনন করে তাতে মৃত ব্যাক্তিকে রাখা হয়৷ আর ঐ অর্ধহাত পরিমান খনন করার পর হালকা ছোট করা হয়েছিল, তাতে বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে মাটি দেয়া হয়। এমতাবস্থায় মৃত ব্যাক্তি এবং বাশের ছাদের মধ্যখানে প্রায় তিন হাত ফাকা থাকে। এই পদ্ধতি শরিয়ত সমর্থিত নয়। তাই এই পদ্ধতি ছেড়ে, শরিয়ত সম্মত দুই পদ্ধতি থেকে যেকোনো এক পদ্ধতি অনুযায়ী কবর খনন করতে হবে। যাতে করে সুন্নাত মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পূর্ণ শরীর ডান কাতে রাখা যায়।