আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–2 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালাম অলাইকুম। আমি একটা বিষয় জানতে চাই ব্যাপারটা এভাবে বলা ঠিক হবে না তবু ও জানার জন্য বলতে হচ্ছে। আমার ফ্রেন্ড ঈশিতা (ছদ্নবেশী নাম ব্যবহার করছি।) সে তার এক ছেলে ফ্রেন্ডকে নিয়ে একটা কাজের জন্য বের হয়েছিল। কাজ সেরে আসতে আসতে ওদের সন্ধ্যা হয়ে যায়। আসার সময় তাদের মাঝে সামথিং রোম্যান্স হয়। আমার ফ্রেন্ড  ছেলেটাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক কিন্তু ছেলেটা রাজি নয়। ছেলেটার বক্তব্য তওবা করে নিলেই হবে। আমার ফ্রেন্ড আল্লাহর কাছে মাঝেমাঝে ছেলেটাকে চাই সে জানে ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না তবু ও সে চাইছে ওর চাওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত ?
আর ওদের দুজনের বিয়ে করে নেওয়া দরকার নাকি তারা তওবা করে নিলেই হবে ?

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম   


https://ifatwa.info/17477/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 
নির্দিষ্ট কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কামনা করে দোয়া করা উচিত নয়। উচিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছে উত্তমটা চাওয়া। আল্লাহর পক্ষে আপনার ধারণা থেকেও উত্তম জীবনসঙ্গী দেয়া কোন বিষয়ই না। 

তবে যদি এ জাতীয় দোয়া করতে চান তাহলে এভাবে দোয়া করুন যে, ‘হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।’

কেননা, অনেক সময় এমন হয়, আজ যে জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকি, দু’ দিন পরই তা পেয়েছি বলে উৎকণ্ঠিত হই। আবার আজ যা থেকে দূরে সরে থাকার ব্যাপারে চেষ্টিত থাকি, কয়েক দিন পর তা পেয়েছি বলে আনন্দিত হই। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরে উল্লেখিত  পদ্ধতিতে আপনার ফ্রেন্ড দোয়া করতে পারেন।     

তার জন্য করনীয় হবে দ্রুত এই হারাম সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা।
তওবার বিষয়টি ছেলেখেলা বিষয় নয়,যে তওবা করলে ১০০% মাফ হবেই।
বিষয়টি এমন নহে।
,
আপনার ফ্রেন্ড যদি এই হারাম সম্পর্ক চলমান রাখে,তাহলে তাকে মহান আল্লাহর কাছে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।        
জাহান্নামের আগুনে তাকে জ্বলতে হবে।
তাই সেই অনন্তকাল জীবনের কষ্ট যেনো সহ্য করতে না হয়,তাই দ্রুত তাকে এহেন অবৈধ সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে হবে।
,
মেয়ে তার পরিবারে সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিবাহ করবে,বাবা মাকে না জানিয়ে ওদের দুজনের বিবাহ করে নেওয়া উচিত হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...