بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/5986/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমামের পিছনে যে ব্যক্তি এক
বা ততোধিক রাকাত নামায পড়ে ফেলার পর শরীক হয় উক্ত ব্যক্তিকে ইসলামী ফিক্বহের পরিভাষায়
মাসবুক বলে।
মাসবুক
ব্যক্তি ইমামের শেষ বৈঠকে প্রথমে তাশাহুদ পড়বে। তারপর কি করবে? এ নিয়ে
বেশ কিছু মত পাওয়া যায়। কোন ফক্বীহ বলেছেন-ইমামের সাথে দরূদ ও দুআয়ে মাসুরা পড়বে।
কেউ কেউ বলেন-চুপ থকেব। কেউ কেউ বলেন-অন্যান্য দুআয়ে মাসুরা পড়বে। কেউ বলেন-তাশাহুদ
আবার পড়বে।
এসকল বক্তব্যের
মাঝে সবচে’ অগ্রধিকারপ্রাপ্ত মত হল-মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ
ধীরে ধীরে পড়বে। এতটা ধীরে যে, ইমাম সাহেব তাশাহুদ শেষ করে, দরূদ ও
দুআয়ে মাসুরাও শেষ করে ফেলতে পারে। তারপর ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুনফারিদ তথা একাকি
নামায পড়া ব্যক্তির মত বাকি নামায পূর্ণ করবে। (ফাতওয়ায়ে
শামী-২/২২০-২২১.ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৯১.আল বাহরুর রায়েক-১/৮৭৫.ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৫৫৯,আহসানুল
ফাতওয়া-৩/৩৮১)
فى الدر
المختار- وأما المسبوق فيترسل ليفرغ عند سلام إمامه وقيل يتم وقد يكرر كلمة
الشهادة،
وقال ابن
عابدين- ( قوله فيترسل ) أي يتمهل ، وهذا ما صححه في الخانية وشرح المنية في بحث
المسبوق من باب السهو وباقي الأقوال مصحح أيضا…… وقيل يكرر كلمة الشهادة كذا في
شرح المنية والذي في البحر والحلية والذخيرة يكرر التشهد تأمل(رد المحتار-كتاب
الصلاة، باب صفة الصلاة، فروع قرأ بالفارسية أو التوراة أو الإنجيل-2/220-221)
যার সারমর্ম
হলো মাসবুক ব্যাক্তি আস্তে তাশাহুদ পড়বে,যাতে ইমাম
সালাম ফিরায়,,,,
মাসবুক
ব্যক্তি ইমাম সাহেব উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকি নামায আদায় করবে।
এক্ষেত্রে
সে একাকী নামায আদায়কারীর হুকুমে চলে যাবে। অর্থাৎ কোন কারণে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হলে
সেজদায়ে সাহু দিতে হবে। নামায ভঙ্গের কারণ হলে, নামায ভেঙ্গে যাবে ইত্যাদি।
আর কেরাতের
ক্ষেত্রে প্রথম দিককার রাকাতের হুকুম আরোপিত হবে। অর্থাৎ যদি এক রাকাত না পায়, তাহলে দাঁড়িয়ে
সানা পড়বে, তারপর ফাতিহা ও সূরা মিলাবে এভাবে বাকি
নামায পূর্ণ করবে। আর যদি দুই রাকাত না পায়, তাহলে প্রথম রাকাতে, সানা, ফাতিহা, সূরা মিলিয়ে
নিয়মমাফিক পূর্ণ করবে, তারপর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা
ফাতিহা পড়ার পর সূরা মিলাবে। আর যদি তিন রাকাত না পায়, তাহলে প্রথমে
দুই রাকাত পূর্বের মত পড়বে। আর তৃতীয় রাকাতে শুধু ফাতিহা পড়বে কিন্তু সুরা মিলাবে না।সমোটকথা, রাকাত হিসেবে
প্রথম রাকাত আদায়কারীর মত নামায আদায় করবে।
কিন্তু
বৈঠক হিসেবে ধর্তব্য হবে শেষ। তথা এক রাকাত না পেলে, এক রাকাত পূর্ণ করেই শেষ বৈঠক
আদায় করবে নিয়মমাফিক। আর দুই রাকাত না পেলে তা পূর্ণ করে শেষ বৈঠক আদায় করবে। এভাবে
তিন রাকাত ও চার রাকাতের একই হুকুম।
***সুতরাং মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ধীরে ধীরে পড়বে। এতটা
ধীরে যে, ইমাম সাহেব তাশাহুদ শেষ করে, দরূদ
ও দুআয়ে মাসুরাও শেষ করে ফেলতে পারে। তারপর ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুনফারিদ তথা একাকি
নামায পড়া ব্যক্তির মত বাকি নামায পূর্ণ করবে। (ফাতওয়ায়ে শামী-২/২২০-২২১)