আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, উস্তাদ
আমার কাজিন ছেলে সে আমাকে বল্লো সে ভবিষ্যৎ এ কি হবে তা স্বপ্নে দেখতে পায় ইভেন স্বপ্নে সে যা দেখে তা হুবুহু বাস্তবে মিলে যায়।যেমন তিনি হজ্জ এ গেলেন যেখানে যেখানে তিনি বসলেন, হাটলেন ইত্যাদি তার মা তার সাথে ছিলো। এই স্বপ্ন সে আগে হুবুহু দেখেছে।

সে প্রায় দেখতো সে একটা বারান্দায় নামাজ পড়ছে এবং সালাম ফিরিয়ে সেখান থেকে তাকালো দেখলো পাহাড় এবং সে সেখানে ঘুরতে গেলো। আজমীর শরিফ যাওয়ার পর তিনি সেই একই ঘটনা হুবুহু ঘটতে দেখেন এবং উনার মা ও ছিলেন।

তো তিনি আমাকে বলতে চাচ্ছেন যে তিনি ভবিষ্যৎ এ কি ঘটবে তা আগে থেকেই স্বপ্নে দেখেন অথবা ফিল করেন।

২। আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর পিতা মাতা কেমন ছিলেন উনারা কি মুশরিক ছিলেন?ঈমান আনেন নি উনারা কি জান্নাতি?কারণ এই নিয়ে অনেক মত পার্থক্য শুনছি।আমাকে এই বিষয় ক্লিয়ার করুন যেনো আমি ভূল ধারণা নিয়ে না থাকি।

৩।একটি হাদিস আছ্র যে যখন বান্দা আল্লাহর নিকট কিছু চায় তখন তিনি জিবরাঈল আঃ কে বলেন এখন ই দিয়ে দিও না কারণ আমার বান্দা আরো দু'আ করুক তার দু'আ আমার পছন্দ,অন্য দিকে অন্য বান্দা কিছু চাইলো আর আল্লাহ জিবরাঈল আলাইহিসসালাম কে বললেন এক্ষুনি দিয়ে দাও কারণ ওর দু'আ আমার অপছন্দের।

এটির সত্যতা কি আর যদি আল্লাহ সত্যি দু'আ কবুল করেন তা হলে কি তিনি আমাকে অপছন্দ করছেন?অথবা যদি না দেন তাহলে কি বার বার আমি তার কাছে চাইতেই থাকবো যদি তা অকল্যাণকর বিধায় দিচ্ছে না কিন্তু আমি বার বার চাচ্ছি তখন কি হবে?আল্লাহ কি তখন অকল্যাণকর হওয়ার পরেও বার বার চাওয়ায় তা দান করে দিবেন।

জাযাকুমুল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।(সূরা লুকমান-৩৪)

অত্র আয়াতে পঞ্চ ইন্দ্রীয় ব্যতীত নিশ্চিতরূপে গাইবের সংবাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,তা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।গাইব শুধুমাত্র আল্লাহ-ই জানেন। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গাইবের সংবাদ জানে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহ ব্যতিত কেউ গাইবের সংবাদ জানেনা। তবে স্বপ্নের মাধ্যমে অনেক সময় আল্লাহ ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন।

স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মাতাপিতা নিয়ে আলোচনা না করাই শ্রেয়।

(৩)
আপনার বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।রেফারেন্স উল্লেখ করবেন। হাদীসের সত্যতা যাচাইবাচাই করে আপনাকে বলবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (31 points)
কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড
পেইজ ৩৯
হাদিস নং ৩২৬১
by (31 points)
কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড
পেইজ ৩৯
হাদিস নং ৩২৬১

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...