বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।
উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ক্ষত স্থান থেকে এই পরিমাণ পানি বা রক্ত বের হলে যা গড়িয়ে পড়ার উপক্রম, এমন হলে অবশ্যই অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং উক্ত ঐ পানি বা রক্তও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে ঐ পরিমাণ বের হলে যা গড়িয়ে পড়বে না বরং স্ব স্থানে বহাল থাকবে। এমন হলে অজুও ভঙ্গ হবে না, এবং সেই পানিকে নাপাকও বলা যাবে না।
উক্ত স্থানকে একবার টিস্যু দ্বারা মুছার পর তাতে যদি রক্তের চিহ্ন না থাকে, এবং আর কোনো রক্ত বের না হয়, তাহলে উক্ত স্থানকে ধৌত করা জরুরী নয়।