বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুদ হারাম। আর হারাম মাল ভক্ষণ করলে দু’আ কবুল হবে না।আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ বা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)যদি হারাম টাকায় কোন জিনিস ক্রয় করে নেয়া হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে সেই জিনিস ফেলে দিতে হবে না।বরং সেটাকে হালাল করার জন্য ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে।
(২)হারাম-হালাল টাকা মিশ্রিত হয়ে গিয়েছে। তাহলে অনুমাণ করে হারামের পরিমাণকে নির্ধারণ করে সেই পরিমাণ টাকাকে সদকাহ করে দিবেন।
যদি সদকাহ করার মত তাওফিক না থাকে, তাহলে দেখবেন,হালাল বেশী না হারাম বেশী।যদি হালাল বেশী হয়, তাহলে উক্ত জিনিষকে গ্রহণ করা জায়েয হবে।নতুবা জায়েয হবে না।
(৩)হারাম টাকা ব্যবহার করলে ইবাদত কবুল হয়না।কতদিন? তা কিন্তু নির্ধারিত নয়।