আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
edited by
১. আমি যদি হারাম টাকায় কোন জিনিস ক্রয় করে ফেলি সেক্ষেত্রে সেই জিনিস কি ফেলে দিতে হবে? সেটাকে হালাল করার কি কোন উপায় নাই? যদি উপায় থাকে তাহলে কখন হালাল হবে? উক্ত উপায় গ্রহণ করার পর নাকি নিয়ত করার পর?
২. হারাম-হালাল টাকা মিশ্রিত হয়ে গিয়েছে। এখন কি করবো?
৩. হারাম টাকা ব্যবহার করলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না?

৪. আমার কাছে যদি কোন হারাম টাকা থাকে তাহলে আমি যদি উক্ত টাকা খরচ করি এবং মনে মনে নিয়ত করি যে উক্ত পরিমাণ টাকা আমি পরবর্তীতে দান করে দিবো তাহলে কি আমার বর্তমানের হারাম টাকাগুলো হালাল হবে?

৫. আমি যদি হারাম টাকায় আমার দোকানের ভাড়া পরিশোধ করি তাহলে কি আমার দোকানের ইনকাম হারাম হয়ে যাবে?

৬। হারাম টাকা খরচ করে একটি হিসাব রেখে টাকাগুলো ভবিষ্যতে দান করে দিবো - এই নিয়তে খরচ করি তাহলে কি আমার জন্য বর্তমানে হালাল হবে?

৭. আমি যদি আজকে হারাম টাকার খাবার খাই এবং সওয়াবের কাজ করি তাহলে কি এই সওয়াব পাবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুদ হারাম। আর হারাম মাল ভক্ষণ করলে দু’আ কবুল হবে না।আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ বা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)যদি হারাম টাকায় কোন জিনিস ক্রয় করে নেয়া হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে সেই জিনিস ফেলে দিতে হবে না।বরং সেটাকে হালাল করার জন্য ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে।
(২)হারাম-হালাল টাকা মিশ্রিত হয়ে গিয়েছে। তাহলে অনুমাণ করে হারামের পরিমাণকে নির্ধারণ করে সেই পরিমাণ টাকাকে সদকাহ করে দিবেন।
যদি সদকাহ করার মত তাওফিক না থাকে, তাহলে দেখবেন,হালাল বেশী না হারাম বেশী।যদি হালাল বেশী হয়, তাহলে উক্ত জিনিষকে গ্রহণ করা জায়েয হবে।নতুবা জায়েয হবে না।

(৩)হারাম টাকা ব্যবহার করলে ইবাদত কবুল হয়না।কতদিন? তা কিন্তু নির্ধারিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...