ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْ بَيْعِ الْحَصَاةِ وَعَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
রাসূলুল্লাহ সাঃ পাথর নিক্ষেপ করে ক্রয় বিক্রয় এবং ধোঁকা জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় থেকে নিষেধ করেছেন।
(মিশকাত-২৮৫৪)
মুল্লা আলী ক্বারী রাহ বলেন,
(وَعَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ) بِفَتْحِ الْعَيْنِ الْمُعْجَمَةِ وَالرَّاءِ الْأُولَى أَيْ مَا لَا يُعْلَمُ عَاقِبَتُهُ مِنَ الْخَطَرِ الَّذِي لَا يُدْرى أَيَكُونُ أَمْ لَا كَبَيْعِ الْآبِقِ وَالطَّيْرِ فِي الْهَوَاءِ وَالسَّمَكِ فِي الْمَاءِ وَالْغَائِبِ الْمَجْهُولِ،
উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পুকুর কেউ এমনিতেই ভাড়া নিবেনা, বরং এখানে মূল উদ্দেশ্য হল, মাছ।মাছের জন্যই একজন ভাড়া দিচ্ছে এবং অন্যজন ভাড়া নিচ্ছে।সুতরাং মূল উদ্দেশ্যর অনুপাতেই হুকুম বাস্তবায়িত হবে। তাই বলা যায় যে, উক্ত ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে না।