আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
রাতের বেলা পায়জামাতে পিরিয়ডের রক্ত লেগে যায় ঘুমের মধ্যে পায়জামায় হাত দিয়ে স্পর্শ করেছি । সকালবেলা উঠে দেখি হাতে রক্ত লেগে আছে।  খুব বেশি না। হালকা রক্তের দাগ । কিন্তু আমার জামা ও গেঞ্জিতি রক্তের কোনো দাগ পাই নি। কিন্তু সমস্যা হলো লেপে সেই রক্ত লেগেছে কিনা জানি না । যেহেতু হাতে লেগেছিল তাই লেপে লাগতে পারে । আমি সঠিক জানিনা । পরবর্তীতে ভেজা হাতে সেই লেপ ধরেছি। লেপটা ধুয়েও দিয়েছি। কিন্তু সাবধানে ধুই নি। মানে নাপাক কাপড় হিসেবে ধুই নি। এখন সন্দেহ হচ্ছে এভাবে আমার হাত, জামা কাপড় সবকিছুই নাপাক হয়ে গেছে?
পিরিয়ডের রক্ত কী নাপাক? এই রক্ত কেন নাপাক?  এই রক্তের কারনেই তো পৃথিবীতে জীবন আসে। এটা তো তাহলে পবিত্র তাই না। যা দিয়ে জীবন সৃষ্টি হয় তা কীভাবে নাপাক হতে পারে?

নাপাক শুকনো কাপড় ভেজা হাতে ধরার পর যদি হাতে কোনো গন্ধ না থাকে তাহলে কী হাত নাপাক হবে? আমার জানা মতে নাপাক হবে না ।


নাপাক কাপড় তিনবার ধোয়ার সময় একবার ধোয়ার পর তো সেই হাতে আবার টেপ ধরা হয় । এভাবে কী টেপ নাপাক হবে? নাপাক হলে কাপড় কীভাবে পাক করব?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হাতে রক্তের দাগ লেগেছে, কিন্তু অন্যকোথাও নেই।এমনটা সম্ভব। কেননা হতে পারে যে, হাত লজ্জাস্থানে লেগেছে, এইজন্য হাতে নাপাকি লেগেছে।আল লজ্জাস্থান থেকে আর কোনো রক্ত বের হয়নি, যেজন্য অন্যকোথাও রক্তের দাগ লাগেনি। সুতরাং পরবর্তীতে ভিজা হাতে লেপ তোষক ধরলেও শুধুমাত্র নাপাকির সন্দেহের কারণে হাত নাপাক হবে না।

পিরিয়ডের রক্ত নাপাক।যেহেতু আল্লাহ ও তার রাসূল রক্তকে নাপাক বলেছেন, কাজেই রক্ত নাপাক।

নাপাক শুকনো কাপড় ভেজা হাতে ধরার পর, হাতে কোনো গন্ধ না আসলে, হাত নাপাক হবে না।

নাপাক কাপড় তিনবার ধোয়ার সময় একবার ধোয়ার পর সেই হাতে আবার টেপ ধরলে টেপ নাপাক হবে।এরজন্য হাতকে তিনবার ধৌত করেই তারপর উক্ত হাত দ্বারা টেপ নাড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...