আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
2,669 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (0 points)
reshown by

 ছেলে-মা,ভাই-বোন,মেয়ে-বাবা এদের মধ্যে হুরামতে মুসাহারাত এর বিধান কী কী? এখানে যা যা লিখেছে তা কতোখানি সঠিক?

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

সারমর্মঃ
একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ তার ব্যাপারে ফতোয়া দিলেন যে তার স্ত্রী তার উপর হারাম।

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)

عن شعبۃ قال: سألت الحکم وحمادًا عن رجل زنی بأم امرأتہ، قالا: أحب أن یفارقہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۳۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ-
শু'বা রহ: থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন আমি  হাকাম এবং হাম্মাদ রহঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম যে একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করেছে,তারা উভয়ে বললেন তার স্ত্রী তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়াকেই পছন্দ মনে করছি।

হুরমতে মুসাহারাত স্পর্শ  এর মাধ্যমেও হয়,আবার শুধুমাত্র দৃষ্টিপাতের মাধমেও হয়। 
হুরমতে মুসাহারাত সংক্রান্ত  বিস্তারিত  আলোচনার আগে একটি বিষয় স্পষ্ট করছি যে উপরে উল্লেখিত প্রশ্নে যেই লিংক দেওয়া আছে,সেটা মাসিক আদর্শ নারীর প্রকাশিত একটি লেখা,যেখানে হুরমতে মুসাহারাত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসয়ালা মাসায়েল লেখা হয়েছে।
যার পুরোপুরিই সঠিক। এটাই ইসলামী শরীয়তের বিধান।
,
মাসিক আদর্শ নারীর আলোচ্য লেখাটি সহ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

★শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

★প্রথম মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।

★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।

★হুরমতে মুসাহারার দ্বারা অটোমেটিক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যায়।
আর এই হারামটা সারা জীবনের জন্য বহাল থাকে। অর্থাৎ পুনরায় বিবাহের কোন উপায় আর থাকে না। কাজেই তালাকের কোন ব্যাপার এখানে নেই।

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
যার সারমর্ম হলো যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।  


 وَالْمُعْتَبَرُ النَّظَرُ إلَى الْفَرْجِ الدَّاخِلِ هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ. وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى هَكَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ وَجَوَاهِرِ الْأَخْلَاطِيِّ. قَالُوا: لَوْ نَظَرَ إلَى فَرْجِهَا وَهِيَ قَائِمَةٌ لَا تَثْبُتُ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ   ، وَإِنَّمَا يَقَعُ النَّظَرُ فِي الدَّاخِلِ إذَا كَانَتْ قَاعِدَةً مُتَّكِئَةً، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ. 
গ্রহণযোগ্য কথা হল, নারীর লজ্জাস্থানের ভিতরাংশের দিকে দৃষ্টি দেয়া। (হেদায়া) যদি স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থানের দিকে থাকায়, এমতাবস্থায় যে,স্ত্রী দাড়ানো থাকে, তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ প্রমাণিত হবে না।লজ্জাস্থানের ভিতরে তখনই দৃষ্টি পড়বে,যখন মহিলা পিছনে কিছুর সাথে ঢেক লাগিয়ে বসবে। (ফাতাওয়ায়ে কাযীখান)
وَلَوْ نَظَرَ إلَى فَرْجِ امْرَأَةٍ بِشَهْوَةٍ وَرَاءَ سِتْرٍ رَقِيقٍ أَوْ زُجَاجٍ يَسْتَبِينُ فَرْجَهَا تَثْبُتُ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ  وَلَوْ نَظَرَ فِي مِرْآةٍ وَرَأَى فِيهَا فَرْجَ امْرَأَةٍ فَنَظَرَ عَنْ شَهْوَةٍ لَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ أُمُّهَا وَابْنَتُهَا؛ لِأَنَّهُ لَمْ يَرَ فَرْجَهَا وَإِنَّمَا رَأَى عَكْسَ فَرْجِهَا 
যদি কেউ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে পাতলা পর্দার আড়াল দিয়ে বা শীষার আড়াল দিয়ে কামভাব সহকারে দৃষ্টি দেয়, এমতাবস্থায় যে, লজ্জাস্থানের ভিতরাংশ পরিস্কার ভাবে দেখা যায়, তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ প্রমাণিত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব সহকারে আয়নাতে থাকায়। তাহলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।কেননা সে তো লজ্জাস্থানকে দেখেনি বরং লজ্জাস্থানের আকস বা উল্টো দিককে দেখেছে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৭৪)

২–
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

৩–
স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে। 
৪–
স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
যার সারমর্ম হলো যদি  যদি দেখা  বা স্পর্শ করার দ্বারায় বির্যপাত হয়ে যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।  
৫–
মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে।  {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}

উপরোক্ত ৫টি শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)
لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)
অনুবাদ হুরমতে মুসাহারাত এক বার প্রমানীত হলে সেটার হুকুম সারাজীবন থাকে।
এই হুকুম তার থেকে দূর হবেনা।
,
,
وَشَرْطُهُ أَنْ لَا يُنْزِلَ حَتَّى لَوْ أَنْزَلَ عِنْدَ الْمَسِّ أَوْ النَّظَرِ لَمْ تَثْبُتْ بِهِ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ     ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ. قَالَ الصَّدْرُ الشَّهِيدُ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى، كَذَا فِي الشُّمُنِّيِّ شَرْحِ النُّقَايَةِ. وَلَوْ مَسَّ فَأَنْزَلَ لَمْ تَثْبُتْ بِهِ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ     فِي الصَّحِيحِ؛ لِأَنَّهُ تَبَيَّنَ بِالْإِنْزَالِ أَنَّهُ غَيْرُ دَاعٍ إلَى الْوَطْءِ، كَذَا فِي الْكَافِي.
হুরমত প্রমাণিত হওয়ার শর্ত হল, বীর্যপাত হতে পারবে না।সুতরাং স্পর্শ করার সময়ে বা দৃষ্টি দেওয়ার সাথে সাথেই যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।(তাবয়ীন) যদি কেউ কোনো মহিলাকে স্পর্শ করে, অতঃপর কিছুক্ষণ পর বীর্যপাত হয়, তাহলে এদ্বারাও হুরমত হবে না।কেননা বীর্যপাত দ্বারা বুঝা যাবে যে, এই স্পর্শ বা দৃষ্টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সহবাসের দিকে নিয়ে যাবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৭৫)
,

★★দৃষ্টিপাতের বিষয়েও হুরমাতে মুসাহারাত সংশ্লিষ্ট। তবে এখানে ৬টি শর্ত রয়েছে। যথা-

১-   দৃষ্টিপাতটি হতে হবে মহিলা পুরুষের আর পুরুষ নারীর সরাসরি শরীরের দিকে। ছবি বা ভিডিও বা কারো অবয়বের পুতুল হলে হবে না।

২-    দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।

৩-   দৃষ্টি নিবদ্ধের সময় শারিরিক উত্তেজনা অনুভূত হতে হবে। পরে বা আগে হলে হবে না।

৪-   যার লজ্জাস্থান দেখছে সে জীবিত হতে হবে। মৃত হলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।

৫-   দৃষ্টি নিবদ্ধের সাথে সাথেই বীর্যপাত না হতে হবে। বীর্যপাত হয়ে গেলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।

৬-   মেয়ের বয়স কমপক্ষে ৯ বছর আর ছেলের বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে।

ই'লাউস সুনান গ্রন্থে এসেছে 
أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

অন্যত্রে এসেছে 
أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲
যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109
যার সারমর্ম হলো আয়না বা পানির মধ্যে কাহারো লজ্জাস্থান দেখলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হয়না।  

অন্যত্রে এসেছে 
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
যার সারমর্ম হলো যদি দেখা  বা স্পর্শ করার দ্বারায় বির্যপাত হয়ে যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।  

  ইনায়া গ্রন্থে এসেছে 
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
যার সারমর্ম হলো যদি দেখার দ্বারায় বির্যপাত হয়ে যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।  

উপরোল্লিখিত ৬টি শর্ত পাওয়া গেলে দৃষ্টিপাতের দ্বারাও হুরমাতে মুসাহারাত তথা বৈবাহিক সম্পর্কের দরূন আজীবন বিবাহ হারাম হওয়ার নীতি কার্যকর হবে দৃষ্টিপাতকারী পুরুষ ও মহিলার মাঝে।

একটি শর্ত না পাওয়া গেলেও হুরমাতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন-
মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী দা.বা.কৃত হুরমাতে মুসাহারাত

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ.কৃত আলহীলাতুন নাযিজাহ লিলহালীলাতিল আজেযা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (565,890 points)
edited by

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ তার ব্যাপারে ফতোয়া দিলেন যে তার স্ত্রী তার উপর হারাম।

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)

عن شعبۃ قال: سألت الحکم وحمادًا عن رجل زنی بأم امرأتہ، قالا: أحب أن یفارقہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۳۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
by (565,890 points)

فتاوی ہندیہ  

وكما تثبت هذه الحرمة بالوطء تثبت بالمس والتقبيل والنظر إلى الفرج بشهوة، كذا في الذخيرة.ثم المس إنما يوجب حرمة المصاهرة إذا لم يكن بينهما ثوب، أما إذا كان بينهما ثوب فإن كان صفيقا لا يجد الماس حرارة الممسوس لا تثبت حرمة المصاهرة. ولو مس شعرها بشهوة إن مس ما اتصل برأسها تثبت وإن مس ما استرسل لا يثبت.والشهوة تعتبر عند المس والنظر حتى لو وجدا بغير شهوة ثم اشتهى بعد الترك لا تتعلق به الحرمة. وحد الشهوة في الرجل أن تنتشر آلته أو تزداد انتشارا إن كانت منتشرة، كذا في التبيين. وهو الصحيح، كذا في جواهر الأخلاطي. وبه يفتى، ... هذا الحد إذا كان شابا قادرا على الجماع فإن كان شيخا أو عنينا فحد الشهوة أن يتحرك قلبه بالاشتهاء إن لم يكن متحركا قبل ذلك ويزداد الاشتهاء إن كان متحركا، كذا في المحيط.وحد الشهوة في النساء والمجبوب هو الاشتهاء بالقلب والتلذذ به إن لم يكن وإن كان فازدياده، كذا في شرح النقاية للشيخ أبي المكارم. ووجود الشهوة من أحدهما يكفي وشرطه أن لا ينزل حتى لو أنزل عند المس أو النظر لم تثبت به حرمة المصاهرة. ويشترط أن تكون المرأة مشتهاة، كذا في التبيين. والفتوى على أن بنت تسع محل الشهوة لا ما دونها.

(الباب الثالث، ج:1، ص:374/375، ط:مكتبه رشيديه)

by (565,890 points)

فتاوی شامی  :

وثبوت الحرمة بلمسها مشروط بأن يصدقها، ويقع في أكبر رأيه صدقها وعلى هذا ينبغي أن يقال في مسه إياها لا تحرم على أبيه وابنه إلا أن يصدقاه أو يغلب على ظنهما صدقه.

(فصل فى المحرمات، ج:3، ص:33، ط:ايج ايم سعيد)


by
Assalamu Alaikum. Hujur ekhetre ki kono mohilar lojjasthaner sudhu matro uporer ongser dike dristi korleo oi mohilar meye ebong ma dristipat karir jonno haram hobe naki dristi lojjasthaner khanikta vitore hote hobe, konta ?       Jajak Allah
by (565,890 points)
লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরের দিকে দৃষ্টিপাত হতে হবে। 
by (565,890 points)
যেনার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হয় কি না? এ বিষয়ে চার ইমামের মাঝে দু’টি মত রয়েছে। যথা-

১-  ইমাম আবূ আজম আবূ হানীফা রহঃ এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ এর মতে ধর্ষণ করার দ্বারা ছেলের জন্য উক্ত স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে। ইমাম মালেক রহঃ এর একটি কওলও এটি। তবে মালেকী মাযহাবের বিশুদ্ধ কওল দ্বিতীয়টি।

২-   ইমাম শাফেয়ী রহঃ এবং ইমাম মালিক রহঃ এর মতে ছেলের জন্য স্ত্রী হারাম হবে না। {কিতাবুল ফিক্বহ আলালমাযাহিবিল আরবাআ-৪/৬২-৬৫}

الحنفية: وأما الذى يوجب حرمة المصاهرة فهو اربعة أمور، أحدهما العقد الصحيح، ثانيها: الوطء سواء كان بعقد صحيح أو فاسد، أو زنا، ثالثها المس، رابعها: نظر الرجل الى داخل فرج المرأة، ونظر المرأة إلى ذكر الرجل،

الشافعية: أم الزنا فإنها لا يوجب حرمة المصاهرة على أى حال، لأنها نعمة من الله لا يصح زوالها بذلك الفعل المحرم، وكما لا يحرم الزنا لا يحرم المس ولا النظر بشهوة على أى حال،

المالكية: أم الزنا فأن المعتمد أنه لا ينشر الحرمة، فمن زنى بامرأة فإن له أن يتزوج بأصولها وفروعها ولأبيه وابنه أن يتزوجها،

الحنابلة: أما وطء الشبهة والزنا فإنه تثبت به حرمة المصاهرة على الصحيح من المذهب، فمن زنى بإمرأة حرمت عليه أمها وبنتها وحرمت على أبيه وابنه (كتاب الفقه على المذاهب الأربعة، كتاب النكاح، مبحث فيما تثبت به حرمة المصاهرة-61-66)
by (2 points)
 কোনটা মানবো। সবচেয়ে বড় ফতোয়া বোর্ড মারকাজুল ইসলাম সউদী তো বলে হারাম হবেনা।

by (565,890 points)
আপনি হানাফি মাযহাব অনুসারী হলে উপরে উল্লেখিত ফতোয়া মানতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...