ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নিজের কানে শুনতে যতটুকু আওয়াজের প্রয়োজন ততটুকু আওয়াজেই পড়তে হবে।এতেকরে পাশের শুনলেও কোনো সমস্যা হবে না।আপনার কানের পাশেই যখন অন্যজনের কান থাকবে, তখন সে শুনবেই,এটা স্বাভাবিক। আপনার এই ফিস ফিস করে পড়ার কারণে মসজিদের আদব নষ্ট হচ্ছে না।
(২)
নামাযে কফ আসলে অস্বস্তি চলে আসে, তাই আপনি নামাযকে ভঙ্গ করে কফ বাহিরে ফেলে তারপর আবার নতুনকরে নামাযে দাড়াবেন।এই কফ কেউ গিলে ফেললেও তার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। রোযা অবস্থায় গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হবে না।
(৩)
কফ বা সর্দি গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হয়না।
(৪)
মাঝ কপালে ব্রণ উঠলে কপালের সাইট দ্বারা সিজদা দিতে হবে।কপালের যে কোনো এক সাইড দ্বারা সিজদা দিতে হবে।তাহলে সিজদা হয়ে যাবে।
(৫)
যথাসম্ভব সমান্তরাল করা জরুরী। যদি শতচেষ্টার পরও আপনি সম্পূর্ণ সমান্তরাল করতে না পারেন, তাহলে যেভাবে পারেন, সেভাবেই করে নিবেন।আপনার রুকু আদায় হয়ে যাবে।
(৬)
জ্বী, নামায হবে।হ্যা, মুস্তাহাব আদায় হচ্ছে না।
(৭)
জ্বী, আপনি শুধু আত্তাহিয়্যাতু পড়বেন।
(৮)
আপনি যে মাযহাবকে মানেন, সেই মাযহাবের মুফতি সাহেবের কথা মানবেন।
আর একই মাযহাবের মুফতি সাহেবদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলে, অধিকাংশের কথা মানবেন।
(৯)
রোযাতে গড়গড়া আবশ্যক নয়।রোযা ব্যতিত গড়গড়া আবশ্যক।