আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
276 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

শায়েখ, দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম আসরের পর পর্যন্ত। কারণ হায়েজ চলছে, তাই নামাজ পড়তে পারছি না। একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
একজন তরুণ বক্তা (অবিবাহিত), তিনি আমার বাসায় এসেছেন, তাঁর সাথে ঘুরছি, ফিরছি, মিশছি ক্লোজভাবে! (আস্তাগফিরুল্লাহ)
স্বপ্নের মাঝেই বারবার মনে হচ্ছিলো, তিনি তো আমার গায়রে মাহরাম, আমি পর্দা করছি না কেন! একটু একটু অপরাধবোধ জাগছিলো। আবার লাগছে, তিনি তো আলেম, তাকে অসম্মান করা হয়ে যাবে না।
এমন না যে, আমি উনার চেহারা খুব স্পষ্ট দেখেছি। কিন্তু একদম শিওরভাবে বুঝতে পেরেছি যে, সেটা উনিই ছিলেন।

এরপর যখন ঘুম ভাঙলো, তখন অনেক অনেক শান্তি লাগলো এই মনে করে যে, এসব কিছুই ঘটেনি, আমার পর্দার খেলাফ হয়নি, আমি আল্লাহর অবাধ্য হইনি। এটা শুধু একটা স্বপ্ন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।
তবুও স্বপ্নটা মাঝে মাঝেই মনে পড়ে সামান্য সামান্য, মাত্র একদিন আগে দেখেছি তাই। এজন্য আমার খুব ভয় লাগছে শায়েখ, এটা কি দুঃস্বপ্ন ছিল? এটা কি আমাকে কোনো কিছুর ইঙ্গিত করছে?

বিঃদ্রঃ আমি ঐ বক্তাকে চিনেছি বেশিদিন হয় নি। উনার লেকচার তেমন শোনাও হয় না। কয়েকটা ছোট ছোট লেকচার শুনেছিলাম শুধু। তবে যেদিন স্বপ্নটা দেখেছি, সেদিনও অল্প একটু শুনেছিলাম লেকচার। সত্যি বলতে, আমার মনে আলহামদুলিল্লাহ কোনো খারাপ চিন্তা আসে নি উনাকে নিয়ে। আমি মনের যিনা সম্পর্কে অবগত, আল্লাহ আমাকে হেফাজত করুক। আরো কিছু বক্তার মতোই, তাকেও আল্লাহর জন্য শ্রদ্ধা করি, এই আরকি।

প্রথম প্রথম বক্তাদের লেকচার শোনার সময় দৃষ্টির হেফাজত করতাম না, স্বাভাবিকভাবেই দেখতাম। কারণ, শুনেছিলাম খারাপ চিন্তা না আসলে মেয়েরা গায়রে মাহরাম এর চেহারা দেখলে গুনাহ নেই।
কিন্তু যেহেতু তাকওয়ার দাবি, তাই এখন সবসময় লেকচার শোনার ক্ষেত্রে দৃষ্টির হেফাজতের চেষ্টা করি, বক্তাদের দিকে তাকাই না। সেই হিসেবে এই বক্তাকে আগে দেখলেও, এখন দৃষ্টির হেফাজতের চেষ্টা করি।


শায়েখ, উনার লেকচার তো শুনি না বললেই চলে। তাই কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন হওয়ারও কথা না। কোনো কল্পনা আসে না তেমন। অনেকদিন ধরে কোনো স্বপ্নই দেখছি না আমি।            
★কিন্তু এখন এরকম স্বপ্ন দেখলাম কেন শায়েখ? এটা কি শয়তান প্রদত্ত? আমার ভয় লাগছে, তাই আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। স্বপ্নটা একটু স্পষ্ট ছিল, উনার সান্নিধ্যে থাকাটাও স্পষ্ট মনে আছে।(আস্তাগফিরুল্লাহ)
আমার এখন কি করা উচিত শায়েখ, পরামর্শ দেন প্লিজ। স্বপ্নটার কোনো ব্যাখ্যা থাকলে তাও বলেন শায়েখ।
closed

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নেককারের সান্নিধ্য অর্জনের ব্যখ্যা হল, আল্লাহ আপনাকে একজন নেককার স্বামী/জীবনসাথী দান করবেন। আল্লাহ কবুল করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...