আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
শায়েখ, দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম আসরের পর পর্যন্ত। কারণ হায়েজ চলছে, তাই নামাজ পড়তে পারছি না। একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
একজন তরুণ বক্তা (অবিবাহিত), তিনি আমার বাসায় এসেছেন, তাঁর সাথে ঘুরছি, ফিরছি, মিশছি ক্লোজভাবে! (আস্তাগফিরুল্লাহ)
স্বপ্নের মাঝেই বারবার মনে হচ্ছিলো, তিনি তো আমার গায়রে মাহরাম, আমি পর্দা করছি না কেন! একটু একটু অপরাধবোধ জাগছিলো। আবার লাগছে, তিনি তো আলেম, তাকে অসম্মান করা হয়ে যাবে না।
এমন না যে, আমি উনার চেহারা খুব স্পষ্ট দেখেছি। কিন্তু একদম শিওরভাবে বুঝতে পেরেছি যে, সেটা উনিই ছিলেন।
এরপর যখন ঘুম ভাঙলো, তখন অনেক অনেক শান্তি লাগলো এই মনে করে যে, এসব কিছুই ঘটেনি, আমার পর্দার খেলাফ হয়নি, আমি আল্লাহর অবাধ্য হইনি। এটা শুধু একটা স্বপ্ন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।
তবুও স্বপ্নটা মাঝে মাঝেই মনে পড়ে সামান্য সামান্য, মাত্র একদিন আগে দেখেছি তাই। এজন্য আমার খুব ভয় লাগছে শায়েখ, এটা কি দুঃস্বপ্ন ছিল? এটা কি আমাকে কোনো কিছুর ইঙ্গিত করছে?
বিঃদ্রঃ আমি ঐ বক্তাকে চিনেছি বেশিদিন হয় নি। উনার লেকচার তেমন শোনাও হয় না। কয়েকটা ছোট ছোট লেকচার শুনেছিলাম শুধু। তবে যেদিন স্বপ্নটা দেখেছি, সেদিনও অল্প একটু শুনেছিলাম লেকচার। সত্যি বলতে, আমার মনে আলহামদুলিল্লাহ কোনো খারাপ চিন্তা আসে নি উনাকে নিয়ে। আমি মনের যিনা সম্পর্কে অবগত, আল্লাহ আমাকে হেফাজত করুক। আরো কিছু বক্তার মতোই, তাকেও আল্লাহর জন্য শ্রদ্ধা করি, এই আরকি।
প্রথম প্রথম বক্তাদের লেকচার শোনার সময় দৃষ্টির হেফাজত করতাম না, স্বাভাবিকভাবেই দেখতাম। কারণ, শুনেছিলাম খারাপ চিন্তা না আসলে মেয়েরা গায়রে মাহরাম এর চেহারা দেখলে গুনাহ নেই।
কিন্তু যেহেতু তাকওয়ার দাবি, তাই এখন সবসময় লেকচার শোনার ক্ষেত্রে দৃষ্টির হেফাজতের চেষ্টা করি, বক্তাদের দিকে তাকাই না। সেই হিসেবে এই বক্তাকে আগে দেখলেও, এখন দৃষ্টির হেফাজতের চেষ্টা করি।
শায়েখ, উনার লেকচার তো শুনি না বললেই চলে। তাই কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন হওয়ারও কথা না। কোনো কল্পনা আসে না তেমন। অনেকদিন ধরে কোনো স্বপ্নই দেখছি না আমি।
★কিন্তু এখন এরকম স্বপ্ন দেখলাম কেন শায়েখ? এটা কি শয়তান প্রদত্ত? আমার ভয় লাগছে, তাই আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। স্বপ্নটা একটু স্পষ্ট ছিল, উনার সান্নিধ্যে থাকাটাও স্পষ্ট মনে আছে।(আস্তাগফিরুল্লাহ)
আমার এখন কি করা উচিত শায়েখ, পরামর্শ দেন প্লিজ। স্বপ্নটার কোনো ব্যাখ্যা থাকলে তাও বলেন শায়েখ।