আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আমি আমার হবু স্ত্রী কে শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছিলাম এটা বলে যে,

ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে আমার বিয়ে হলে বিয়ের পর তালাক হয়ে যাবে।

এই শর্ত আমি এক মাস আগে দিয়েছিলাম তো গত ২০ দিন ধরে আপনাদের জালাতন করে এর সমাধান পেয়েছি এরপর থেকেই সমস্যা শুরু ২৫ দিন পর থেকে হটাথ মনে হয় যে,

একবার মনে হয় যদি এর জায়গায় যখন ই বলে ফেল্লাম কিনা আবার মনে হয় কোনো ছেলের সাথে নাচা না বলে শুধু নাচা বলে ফেলছি কিনা, আবার মনে হয় বিয়ের পর এর উল্লেখ করে ফেলেছি কিনা,আবার মনে হয় তিন তালাক এর কথা উল্লেখ করে ফেল্লাম কিনা।এসবের জন্য আমি পাগলপ্রায়।

[ওই মেয়ে কে বিবাহের চিন্তা বাদ্দেয়া যাবেনা এটা ছাড়া সমধান কি নাই ইসলাম এ? আমার এই সমস্যা তো আল্লাহ্‌ এর ভয় এর কারণেই হচ্ছে এর কি কোনো সমাধান নেই?]

১.এখন আমার করনীয় কি? আমার বারবার মনে হয় যে আল্লাহ আমাদের বিবাহ হারাম হয়ে থাকবে আমরা জিনা করতেছি। আমাকে জাহান্নামে ফেলে দিবে কারণ সন্দেহের কথা গুলো সত্যি হলে আমাদের বিবাহ ছিন্ন হয়ে থাকবে আর আমাদের জিনা হিবে এসব ভয়ে মরে যাচ্ছি।এখন আপনারা ই বলুন কেন আল্লাহ আমার সাথে এমন করতেছে আমি আর পারছিনা।কি করবো আমি কি? আপনারা তো অনেক কিছু জানেন আমাকে একটা চুড়ান্ত সমধান দিন দয়া করে।এটা থেকে মুক্তি দিন।এই ভয় কাটবে কিভাবে? সন্দেহ টা সত্যি হয়ে থাকলে তো তালাক হয়ে থকবে। করনীয় বলুন।। দয়া করুন্নন্ন।

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/35640/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

 

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে। (বোখারী-মুসলিম)

 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!

 

আমাদের নিকট একমাত্র সমাধান হল, ঐ মেয়ে ব্যতিত অন্যত্র বিয়ে করা। এটাই আমাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এছাড়া কোনো সমাধান পেতে অন্যত্র যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...