আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।

হুজুর মাফ করবেন এইভাবে বলার জন্য তবে আমি ওয়াসওয়াসায় ভুগছি যা জানা আমার দরকার।কিছু জিনিস বলি আমার আব্বুকে নিয়ে আমার কোন কামভাব বা খারাপ যিনার নিয়ত ছিল না,আল্লাহর কসম কখনোই না।আর একটা কথা আমার আব্বার লজ্জাস্থান আমি দেখিনি কখনোই কাপড়বিহিন।কাপড় সহ সামনে তাকিয়েছিলাম কিনা সন্দেহ, যদি ধরি তাকিয়েছিও ও কখনো খারাপ চিন্তা আসে নি আর উত্তেজনা ও ফিল করে নি।

এখন জানুয়ারি  এর ২৪ তারিখ।ঘটনা কিছুদিন আগে ডিসেম্বর মাসে আমার ছোট ভাইয়ের মুসলমানি হয়। তখন আব্বু সামনে ছিল পরে আমি অনেকক্ষন পর সেখানে যাই ভাইকে দেখার জন্য, দাদুও ছিল সেখানে।আমার ভাইকে আব্বু পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছিল দুই সাইডে কোলবালিশ উচু করে দিয়ে উপরে কাপড় দিচ্ছিল। তো আমার মুলত ব্যাপারটা একটু লজ্জা লাগছিল মনে মনে অনেক কিছু ভাবছিলাম যে সবার ই এইরকম হইসে আব্বুর ও হইসে, এইক্ষেত্রে লজ্জাস্থান চিত্র ভেসে আসলে কি হুরমত হবে? আমি খানিকটা দূরে এক হাত থেকে কমবেশি দূরে বসা সোফায়। আব্বু খাটে আব্বুর পিছন সাইড ই দেখা যাচ্ছে।

তারপর দুইটা ননমাহরাম এর কথাও মাথায় এসে পরে আর মাথার মধ্যে হুট করেই ছেলেদের লজ্জাস্থান এর দৃশ্য এসে পরে।এখন কেও যদি লজ্জাস্থান এ কিছুটা শিহরন পায় অই ননমাহরাম এর জন্য তাহলে কি কিছু হবে?? আমার যতদুর মনে হয় আব্বুকে নিয়ে কোন বাজে চিন্তা আসে নি।কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে যে আসলেই এসেছিল কিনা?? আর আমার আব্বু খাটে ছিল আমি একটু দুরর সোফায়।আব্বুর পিছন সাইড দেখা যাচ্ছিল যেভাবে মানুষ নামাজ পরে সে ভংগিতে বসা ছিল সামনের কোন অংশ দেখার সুযোগ নেই।আমার অই নন মাহরামদের প্রতি কোন কামভাব ছিল না বাট মনে অনেক কিছুই এসে পরে।এবং আমার মনে হয় আমি কিছুটা শিহরন ও পাই। সেটা লজ্জাস্থানে। অন্তর কেপে উঠার মত কিছু হয়েছিল কিনা জানিনা মনে নেই সন্দেহ হচ্ছে। যদি ধরে নিই  অন্তর কেপে উঠেছিল আর আব্বার প্রতি খারাপ চিন্তা এসেছিল তাহলে কি হুরমত হবে।আব্বার ক্ষেত্রে মনে আশছেই না এমন কিছু আব্বার প্রতি মনে হয়েছিল কিনা??যদি আব্বার ক্ষেত্রে তার লজ্জাস্থান দেখা বিহিন সে ঘরে থাকা অবস্থায় লজ্জাস্থানের দৃশ্য মাথায় ভেসে আসে আর তার প্যান্ট পরা অবস্থায় পশ্চাত দিকে নজর যায় তাহলে হুরমত হবে.?  এই ব্যাপারটাও আমি শিউওর না মাথায় আস্তেসে বার বার।(অই ঘটানাতেই এইটা কিন্তু আমার পশ্চাত দিকে নজর খারাপ ভাবে গেছে কিনা সন্দেহ আর তাকিয়েছিলাম কিনা তাও সন্দেহ।যদি ধরে নেই তাহলে কি হুরমত হবে।?

দৃষ্টিপাতের হুরমতের ক্ষেত্রে লজ্জাস্থান দেখার কথা বলা আছে সেটা কি কাপড় বিহিন নাকি কাপড় সহ?? এই এক্টা কাহিনি নিয়ে অনেক কিছু মাথায় আশছে এই হইসে সেই হইসে হয়ত আব্বুকে নিয়ে ভেবেছি ইত্যাদি। (যা মুলত কল্পনার ধরুন দেখা তখন আব্বু ঘরেই অবস্থান করছিল কিন্তু আমি দূরে শুধু আব্বুর পিছন সাইড দেখা যাচ্ছিল ফুলপ্যান্ট সাথে ছিল)।তাও তখন আব্বুর পিছনে তাকানো ছিলাম না মনে হচ্ছে আমি সোজা তাকাইসিলাম। যদি ধিরে নিই  যে আমার বাম পাশে আব্বুর দিকে পশ্চাত দিকেই তাকাইসিলাম তাহলে কি হুরমত হবে।?আমি সোফায় আমার বামপাশে খাটে আব্বু।

1 Answer

0 votes
by (55,230 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

 

 'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

 হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করেযা এতটাই পাতলা যেশরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যেশরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة

وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করেযা এতটাই পাতলা যেশরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 

তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

 

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়াআর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،

وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى

وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  

সারমর্মঃ

উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়াআর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া। মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠাআগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

 

৩. স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما

وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/3571/

https://www.ifatwa.info/1233/

 

শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হুরমত প্রমাণিত হবে না। তবে পিতার সম্পর্কে এমন আজে বাজে কল্পনা করা থেকে বিরত থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
edited by
আমার উত্তরটা দিন প্লিজ।আর আমার এখন স্ট্রং ফিলিংস হচ্ছে যে আমি আব্বুকে নিয়ে কিছু ভাবি নি।ভাবা  অসম্ভব।আমি যা লিখেছি সব ওয়াসওয়াসার উপর নির্ভর করে লিখেছি।
শুধুভেবেছিলাম আব্বুরও এমন হইসে। আর ভাবার সাথে সাথে আব্বুর উদ্দেশ্য লজ্জাস্থানের চিত্র মাথায় আসে নি স্ট্রং ফিলিংস হচ্ছে।বাট সন্দেহের জন্য এইভাবে লিখেছি।অন্তর কেপে উঠার মত ও কিছু হয়নি।

আর আমি যা লিখছি সেভাবে কি হুরমত হওয়া সম্ভব?? আসলে আমি  যা লিখসি খুবিই ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে। আমি ওয়াসওয়াসার রুগি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 238 views
...