وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
অন্যকে সাজিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো যাকে সাজিয়ে দিবে,
তার হাবভাব থেকে বুঝা যায় যে, সে বেপর্দায় ঘোরাফেরা করবে, তাহলে এমন পাত্রীকে সাজানো কখনো জায়েয হবে না। কিন্তু যদি বুঝা যায় যে, সে মাহরাম ব্যতীত কারো সামনে বের হবে না।তাহলে এমন বউকে সাজানো যাবে, জায়েয রয়েছে।
,
যদি আপনি জানেন যে, মেয়েটি সম্পূর্ণ পর্দা করে এবং এই সাজে শুধুমাত্র মাহরামদের সামনেই যাবে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি তাকে সাজাতে পারবেন।এটা আপনার জন্য জায়েয হবে।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বোনের মা যেহেতু চেহারা খোলা রেখে বাহিরে যায়,তাই তার মাকে সাজিয়ে দিলে সে তা পরপুরুষদের প্রদর্শন করে বেড়াবে।
এই জন্য উক্ত বোনেরও গুনাহ হবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বোনের জন্য তার মাকে সাজিয়ে দেওয়া জায়েজ হবেনা।
হ্যাঁ যদি কোনো সময় এমন হয়,যে উনি আর তখন গায়রে মাহরামদের সামনে যাবেননা।
মাহরামদের সামনেই থাকবেন,তখন সাজিয়ে দেওয়া যাবে।
,
আরো জানুনঃ