বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ঘুষ হারাম।
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
অনুবাদঃ ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১ সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি হারাম ভাবে উপার্জনের টাকা দিয়ে যে বাড়ি করেছেন তা ব্যবহার করা ও তা দ্বারা উপকৃত হওয়া, ভাড়া গ্রহন সবই নাজায়েয। এখন যদি উক্ত ব্যক্তি এগুলো থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চান, তবে যে পরিমাণ টাকা দ্বারা বাড়ি করেছেন,তার মধ্যে যত টাকা হারাম ছিলো,তাহা মূল মালিককে ফেরত দিবে,ফেরত দেওয়া অসম্ভব হলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সে পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিলে তিনি উক্ত বাড়ির মালিক হয়ে যাবেন। তখন এ থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয হবে।
সেখানে থাকা,ভাড়া গ্রহন জায়েজ হবে।
,
হারাম টাকা সমপরিমাণ সদকা করার আগ পর্যন্ত ঐ বাড়ি হালাল হবে না এবং এর থেকে কোনো প্রকার উপকৃত হওয়াও তার জন্য বৈধ হবে না। এমনকি তাহা সদকা করার পূর্বে বাড়ি ভাড়া থেকে যা আয় হবে তাও সদকা করে দিতে হবে। আর পিছনের জীবনে হারাম উপার্জন ও তার ভোগব্যবহারের কারণে আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা-ইস্তিগফারও করতে হবে। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৬১৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩২২)
(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে পিতা জীবিত থাকলে সেট তার থেকে জেনে নিতে হবে।
আর পিতা মারা গেলে তার নিকটতম কাহারো থেকে জেনে নিবে।
যদি কোনোভাবেই জানা অসম্ভব হয়,তাহলে এই সম্পর্কে সাম্যক অবগত ব্যাক্তি হিসেব করে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে হারাম সম্পদের সংখ্যা বের করে তাহা বা সেই পরিমান টাকা মূল মালিককে ফেরত দিবে।
ফেরত দেওয়া অসম্ভব হল ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
উক্ত সম্পদ বা সেই পরিমান টাকা মূল মালিককে ফেরত দেওয়া বা ফকির মিসকিনকে দান করার আগ পর্যন্ত সেটি বন্টন হবেনা।
,
বন্টন করা হলেও যার কাছে তাহা থাকবে,সে তার মালিক হবেনা।
তাকে সেই সম্পদ মূল মালিককে ফেরত দিতেই হবে,অথবা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করতেই হবে।