বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নামাজে কাপড় পাক
রাখা ফরজ,শর্ত।
আল্লাহ তায়ালা
বলেছেন
وثيابك فطهر
কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর
প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء
أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب
الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু
থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য
কোনোভাবেই সম্ভবপর না
হয়,তাহলে আপনি মা'যুর।
অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
আপনি মা'যুর কিনা,এ সংক্রান্ত জানুনঃ
https://ifatwa.info/3954/
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়।
আবু দাউদ শরীফের
১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ
দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ
আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস
যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী
প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
,
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/12398
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনার মা একবার ওজু করার পরে
১০/১২ মিনিট সময় পায় যে, তিনি ঐ ওজু
দিয়ে পবিত্রতার সাথে ফরজ নামাজ পড়তে পারেন তাহলে আপনার মা মাজুর নন। এই ক্ষেত্রে
আপনার মায়ের হুকুম হলো তিনি প্রত্যেক নামাজের জন্যে ওজু করে নামাজ পড়বেন
প্রবিত্রতার সাথে। আর যদি আপনার মায়ের অবস্থা এমন হয় যে, এক
ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ১০/১২ মিনিট সময় পান না। বরং সর্বদা ওজু ভাঙ্গতেই থাকে তাহলে
আপনার মা মাজুর। তখন আপনার মায়ের হুকুম হলো, তিনি প্রত্যেক
নামাজের জন্যে ওজু করে নামাজ পড়বেন এই সময়ে ওজু থাকুক বা না থাকুক। তিনি নামাজ
চালিয়েই যাবেন।
উল্লেখ্য যে, এ্যাজমার সমস্যা হলে প্রয়োজনে গরম পানি দিয়ে ওজু করবেন।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার নানি এখনো একা একা
উঠতে বসতে পারেন তাই আপনার নানি মাজুর নন। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রত্যেক
নামাজের সময় অন্য কেউ আপনার নানিকে পবিত্ ও ওজু করিয়ে দিবে। অত:পর তিনি সেই ওজু
দিয়ে তার সুবিধা অনুযায়ী বসে বা দাড়িয়ে নামাজ পড়ে নিবেন।
উল্লেখ্য যে, যে আপনার নানিকে পবিত, পাক, সাফ ও ওজু করানোর কাজে সহযোগিতা করবেন সে অনেক
অনেক সওয়াব পাবেন।