আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম

1) ইমামের সাথে সাথে সামি আল্লাহু লিমন হামিদা তাকবীরের মত /মনে মনে বললে কি নামাজ ভেঙে যাবে? যদি ভুলক্রমে বলি? সাহু সেজদা দেয়া লাগবে?
আসলে আমার বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে,এমন না যে আমি ইচ্ছে করে বলি,মন থেকে অটো এসে যায়।এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?

2/যদি ইমাম এর সাথে নামাজ ধরতে না পারি তাহলে টা যে কয় রাকাত ধরতে পারি নাই টা ইমাম এর সালাম ফিরানোর পর পড়বো।আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি উঠে কখন দাড়াব? ইমাম একবার সালাম ফিরানোর পরেই নাকি 2 বার সালাম ফিরানোর পর?

3, নামাজে যদি কিছু মনে পড়ে যাওয়ায় :-a)যদি মুখ হাসি হাসি হয়ে যায় কিন্তু কোনো শব্দ হয় নাইb)etou mridu শব্দ হয়েছে পাশের লোক শুনতে পারে নাই c)হাসি তে শব্দ না হলেও যদি দাত বের হয়
তাইলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?

।4)ইমামের পিছে নামাজ পড়লে তাকবীর কিভাবে পড়বো,? মনে মনে, নাকি ফিসফাস করে নাকি মুখে উচ্চারণ করবো কিন্তু কোনো শব্দ হবে না?

5) ফরজ গোসল নিয়ে খুব ওয়াসওয়াসা হয়। পুকুরে গোসল করলে  এই ভয় থাকে না যে শরীর এর সব অংশ ভিজলো কিনা। কিন্তু ঢাকা শহরে এই উপায় নাই।আমার এখন কি করা উচিৎ? কোন পদ্ধতিতে শরীরে তিনবার পানি ঢালবো? কিভাবে পানি ঢাললে শরীর এর সব পার্ট এই পানি যাবে?


6) জামায়েতে নামাজ পড়া চলাকালীন যদি কাশি কফ  আসে তাহলে কি  কফ গিলে ফেলব???
রমজান মাসে কি করবো???

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুক্তাদির জন্য রাব্বানা লাকাল হামদ বলা মাসনুন।সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলা মাসনুন নয়। কিন্তু কেউ বললে ফেললে তার নামায ফাসিদ হবে না।

(২)
ইমামের দ্বিতীয় সালাম ফিরানোর পরই আপনি উঠে দাড়াবেন।

(৩)
https://www.ifatwa.info/10843 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
(وَمِنْهَا الْقَهْقَهَةُ) وَحَدُّ الْقَهْقَهَةِ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلِجِيرَانِهِ وَالضَّحِكُ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا يَكُونُ مَسْمُوعًا لِجِيرَانِهِ وَالتَّبَسُّمُ أَنْ لَا يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا لِجِيرَانِهِ. كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ الْقَهْقَهَةُ فِي كُلِّ صَلَاةٍ فِيهَا رُكُوعٌ وَسُجُودٌ تَنْقُضُ الصَّلَاةَ وَالْوُضُوءَ عِنْدَنَا. كَذَا فِي الْمُحِيطِ سَوَاءٌ كَانَتْ عَمْدًا أَوْ نِسْيَانًا كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
وَلَا تَنْقُضُ الطَّهَارَةَ خَارِجَ الصَّلَاةِ وَالضَّحِكُ يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا يُبْطِلُ الطَّهَارَةَ وَالتَّبَسُّمُ لَا يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا الطَّهَارَةَ،
 হাসি তিন প্রকার। প্রত্যেকটির সংজ্ঞা নিম্নরূপ।  যথা-
(১)ক্বাহ্ক্বাহাঃ যা সে নিজেও শুনবে এবং তার প্রতিবেশীগণ ও শুনবে।
(২)দ্বিহকঃযা সে নিজে শুনবে,তবে তার প্রতিবেশীগণ শুনবে না।
(৩)তাবাস্সুমঃযা সে নিজেও শুনবে না এবং প্রতিবেশীরা ও শুনবে না।(যাখিরাহ)

আমাদের মাযহাবমতে প্রত্যেক রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাযে ক্বাহ্ক্বাহা নামায এবং অজু উভয়টিকে নষ্ট করে দেয়।(মুহিত)চায় ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক(খুলাসাহ)তবে নামাযের বাহিরে হলে অজু নষ্ট হবে না।আর দ্বিহক নামাযকে নষ্ট করে দিলেও অজুকে নষ্ট করবে না।আর তাবাস্সুম নামায এবং অজু কিছুকেই নষ্ট করবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১২)

(৪)
নিজের কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়, এমন মৃদু স্বরে তাকবীর বলতে হবে।

(৫)
বসে ধীরসুস্থে অল্প অল্প করে শরীরে পানি ঢেলে শরীরকে মলে দিলে পানি কম খরচ পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...