আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in সালাত(Prayer) by (75 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,


আমার এলাকা বেরেলবীদের ঘাঁটি, আমার বাসার পাশের মসজিদে বেরেলবী ইমাম!


তো, আমি চেষ্টা করি বাসা থেকে দূরের মসজিদে গিয়ে জামাত পড়ার!


যেহেতু আমি স্থায়ী বাসিন্দা উক্ত এলাকার, ইমাম সাবও আমার পরিচিত!

তাই আমি মসজিদে না গেলে তারা সন্দেহ করে ওহাবী হয়ে গেলাম কিনা (তাদের মতে)। ইমাম সাব বাসায় বললে আব্বু ঝামেলা করে! বংশের মানুষও খারাপ চোখে দেখে!


তাই আমি মাঝে মাঝে তাদের মসজিদে গেলে ইমামের সাথে উঠ-বস করি, রুকু সিজদা করি নামাজের নিয়্যাত না করে! তাদের দেখাই যে আমি তাদের ইমামের পিছনে নামায পড়ি, তার মানে আমি ওহাবী হইনি (তাদের মতে),


তারপর একা একা নামাজ পড়ে ফেলি!


এতে কি আমার গুনাহ হবে?


*তিনি বিশ্বাস করেন, নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজির নাজির, নবীজী আল্লাহর নূরের তৈরী, তিনি মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হয়, নবীজী গায়েব জানেন! আল্লাহ অলিদের অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, তার তারা অলির মূর্দাও জিন্দা করতে পারে আল্লাহর ইচ্ছায়!

ওহাবীদের পিছনে সালাত হবে না, তাদেরকে নবীজীর দুশমন মনে করে!

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূল সাঃ গায়েবের খবর জানতেন।এমন আকিদা শিরকী আকিদা তথা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা।যা ঈমান নিয়ে নিবে। সুতরাং এমন আকিদার কারো পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2915

তাছাড়া অন্যান্য বিষয়, মিলাদ কিয়াম,দাড়ি ছাটাই কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। কবিরাহ গোনাহে বরাবর লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লে নামায যদিও আদায় হয়ে যাবে। তথাপি তাদের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/291

ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872

নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4350

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উনার শিরকি আকিদা থাকলে উক্ত ইমামের পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না। তাছাড়া অন্যান্য কবিরাহ গোনাহের কারণে উক্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া যাবে, তবে নামায মাকরুহ হবে। ফিতনার আশংকা না থাকলে উক্ত ইমামকে বদলিয়ে ফেলাই উত্তম। আর ফিতনার আশংকা থাকলে উক্ত ইমামের পিছনে নামায পড়া যাবে। অথবা দূরবর্তী কোনো মসজিদে নামায পড়া যেতে পারে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন যাতে উনার পিছনে নামায পড়তে না হয়।আপনি যদি ফিতনার আশংকায় পড়েও নেন, তবে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।এভাবে পরবর্তীতে দোহড়িয়ে পড়ার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...