بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/994 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছে যে, কোনো মুসলমান যুবক-যুবতীর জন্য উচিৎ হবে না মা-বাবাকে
কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করা বা নিজ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। মা-বাবাকে যে কোনো মূল্যে
রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,নতুবা তাদের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে
মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তাদের অসন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করা আপনার জন্য কখনো মঙ্গলজনক
হবেনা।এবং না হওয়াই যুক্তিসংগত।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻗَﻀَﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ
ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﺇِﻣَّﺎ
ﻳَﺒْﻠُﻐَﻦَّ ﻋِﻨﺪَﻙَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻓَﻼَ
ﺗَﻘُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺂ ﺃُﻑٍّ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﻬَﺮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻗُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺎ ﻗَﻮْﻻً ﻛَﺮِﻳﻤًﺎ
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার
সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে
উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক
দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা:১৭/২৩)
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। কুমারী মেয়ে রাসূল সাঃ এর
কাছে এসে বলল, আমার পিতা
আমার অপছন্দ সত্বেও বিয়ে দিয়েছে, তখন রাসূল সাঃ সে মেয়েকে অধিকার
দিলেন, [যাকে ইচ্ছে বিয়ে করতে পারে বা এ বিয়ে রাখতেও পারে]। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৬, সুনানুল কুবরা নাসায়ী, হাদীস নং-৫৩৬৬, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৬৬}
عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: جَاءَتْ
فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: ” إِنَّ
أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ، لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ، قَالَ: فَجَعَلَ
الْأَمْرَ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي، وَلَكِنْ
أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنَ الْأَمْرِ
شَيْءٌ “
হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবীজী সাঃ এর কাছে এসে বলল,
আমার পিতা আমাকে তার ভাতিজার কাছে বিয়ে দিয়েছে, যাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাবী বলেন, তখন রাসূল সাঃ
বিষয়টি মেয়ের ইখতিয়ারের উপর ন্যস্ত করেন, [অর্থাৎ ইচ্ছে করলে
বিয়ে রাখতেও পারবে, ইচ্ছে করলে ভেঙ্গেও দিতে পারবে] তখন মহিলাটি
বললেন, আমার পিতা যা করেছেন, তা আমি মেনে
নিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েরা যেন জেনে নেয় যে, বিয়ের ব্যাপারে পিতাদের [চূড়ান্ত] মতের অধিকার নেই্ {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়াহ, হাদীস নং-১৩৫৯, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৫৫}
সবাইকে জানিয়ে মাতা-পিতার সম্মতিতে ফ্যামিলি সিদ্ধান্তে বিয়ে
করাই প্রত্যেক মুসলমান যুবক-যুবতীর উচিৎ ও কাম্য।তবে যদি তারা কাউকে না জানিয়ে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতে বিয়ে করে নেয়,তাহলে সেক্ষেত্রে বিয়েটা হয়ে যাবে।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আপনি মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন। পারিবারিক
ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন। আমরা আপনাদেরকে পালিয়ে বা গোপন
বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা। তারপরও যদি দুজন সাক্ষীর সামনে করে নেন, তাহলে বৈধ হয়ে যাবে।