বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক।
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে।
ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যে সমস্ত ফতোয়ায় এভাবে একাধিক ছুরতের বিধান জানার জন্য প্রশ্ন করেছিলেন,সেসব ফতোয়ার প্রশ্নে আপনি কোন ধরনের বাক্য ব্যবহার করেছিলেন?
নিজের দিকে নিসবত করে বাক্য ব্যবহার করেছিলেন?
নাকি অন্যের দিকে?
★যেমন এই ভাবে প্রশ্ন করা যায়ঃ
যদি কেহ তার হবু স্ত্রী কে শর্তযুক্ত তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে বলে,ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে বিয়ের পর তিন তালাক হয়ে যাবে।
★তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু অন্যের দিকে নিসবত করে বলেছে,সুতরাং আপনার ক্ষেত্রে তিন তালাকের সমস্যা নেই।
আবার আপনি যদি সেই সমস্ত প্রশ্নে এভাবে বলেন যে যদি আমি বলি,,, আমার হবু স্ত্রী যদি,,,,,,,,,,
★এভাবে বললে বললেও আপনার ক্ষেত্রে তিন তালাকের সমস্যা নেই।
,
তবে আপনি যদি নিজের দিকে নিসবত করেই এহেন তিন তালাকের কথা বলেন, অথবা আমি যদি বলি,এই জাতীয় বাক্য ব্যবহার না করে থাকনে,তাহলে সেই মেয়ে বিবাহের আগে সেই শর্তযুক্ত কাজ করলে তাকে আপনি বিবাহ করা মাত্র তিন তালাক পতিত হবে।