জুলুম অনেক বড় গুনাহ। কেউ কারও উপর কোনো জুলুম করলে যদি মাজলুম ব্যক্তি তাকে বদ দোয়া দেয় তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার দোয়া কবুল করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ الْمَكِّيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيِّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ " إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوكَ لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوكَ لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ فِي فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوكَ لِذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ "
ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূ‘আয (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণকালে বললেন, তুমি এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছো যারা আহলি কিতাব। তুমি (সর্বপ্রথম) তাদেরকে এ সাক্ষ্য দিতে আহবান করবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি (মুহাম্মাদ) আল্লাহর রসূল। তারা তোমার এ কথা মেনে নিলে তাদেরকে অবহিত করবে, আল্লাহ তাদের উপর তাদের মালের যাকাত প্রদান ফারয করেছেন, যা তাদের ধনীদের কাছ থেকে নেয়া হবে এবং তাদের গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদের উত্তম সম্পদগুলো গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে। আর মযলুমের বদদু‘আকে ভয় করবে। কেননা তার দু‘আ ও আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধক নেই।
(আবু দাউদ ১৫৮৪)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ عَلَى وَلَدِهِ "
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন প্রকারের দুআ অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনরকম সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দুআ, মুসাফিরের দু'আ এবং সন্তানের প্রতি বাবার বদ-দুআ।
হাসান,( ইবনু মা-জাহ (৩৮৬২) তিরমিজি ১৯০৫)
রাসুল সাঃ মাজলুমের দোয়া থেকে মহান আল্লাহর কাছে হেফাজতের দোয়া করতেনঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ "
আবদুল্লাহ ইবনুস সারজিস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, যখন নাবী " সফরে রাওয়ানা হতেন, সে সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি সফরে আমার সঙ্গী এবং আমার (অনুপস্থিতিতে) আমার পরিবার-পরিজনের তুমিই (আমার) স্থলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ! আমাদের সফরে তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের পরিবার-পরিজনের জন্য আমাদের প্রতিনিধি হও। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমরা সফরের ক্লান্তি, ফিরে আসার ব্যর্থতা, প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা, নির্যাতিতের অভিশাপ এবং পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পত্তির প্রতি কু-দৃষ্টি হতে তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি”।
সহীহঃ (ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৮), মুসলিম,তিরমিজি ৩৪৩৯)
সর্বপরি মাজলুম ব্যাক্তিও যদি এমতাবস্থায় বদ দুয়া/অভিশাপ না করে বরং ধৈর্য ধারন করে,তাহলে বেশি উত্তম হবে