ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/8108 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না)
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)
টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ
অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
টাখনুর মাঝ বরাবর কাপড় পরিধান করা যাবে না, বরং টাখনুর উপরেই কাপড় পরিধান করতে হবে।
(২)
উক্ত আতর ব্যবহার করতে পারবেন।
https://www.ifatwa.info/13824 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়া এলকোহল কি হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী (দাঃবা) লিখেন,
وان معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃ এলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না।
বরং তা বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে।(বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে)(তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম 3/608)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/165
(৩)
আপনি আপনার দু'আয়ে মাছুরা সমাপ্ত করে তারপর সালাম ফিরাবেন।
(৪)
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
'(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা জায়েয।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয হবে,তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।'
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং কোনো রাজনীতিবিদ বা কারো কোনো দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে গেলে অন্যকে বিরত রাখার মানসে তার সমালোচনা করা জায়েয হব।