আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
১০ বছরের মানসিক বিকাশ একটু স্লো এখনও ক্লাস ৩ এ পড়েন এমন ছেলেকে মহিলা মুয়াল্লিমা আরবী পড়াতে পারবে? ছেলের মা বোনও পড়বে সাথে।

কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয়া জায়েয?এক্ষেত্রে নিয়ত কি থাকবে?

মা বাবার সাথে বালেগ সন্তান থাকতে পারবে? মায়ের সাথে বালেগ মেয়ে থাকতে পারবে এক বিছানায়?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

১.শিক্ষক যদি নারী হয়,আর স্টুডেন্ট যদি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ হয়,সেক্ষেত্রে অনুমতি নেই।

প্রশ্নেল্লিখিত ছেলেটির বয়স ১০ বছর এবং এই বয়সে অনেকে বালেগও হয়ে যায়। সুতরাং যদি সে বালেগ হয়ে যায় তাহলে মহিলা শিক্ষিাকার নিকট না পড়ানোই শ্রেয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে নজর হেফাজত আর ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে কিছু ইসলামী স্কলারগন অনুমতি দিয়েছেন।

২.কুরআনের বিনিময় জায়েয।চিকিৎসা বাবৎ টাকা নেওয়া যেমন জায়েয, ঠিক তেমনি শিক্ষা প্রদাণ করেও হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরআন শিক্ষা দিতে হবে এবং প্রয়োজন পূরণ করার লক্ষে হাদিয়া নেওয়া যাবে। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.ifatwa.info/6577

৩. শরীয়তের মূল বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক তথা দশ বৎসরে উপনীত হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিধান হলো যে,প্রত্যেকেই এমন স্থানে শয়ন করবে যেখানে পর্দা পুশিদার রক্ষা হয়।

সে হিসেবে প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক রুমে থাকবেন।হ্যা স্বামী-স্ত্রীর বিষয়টি ভিন্ন।সুতরাং সাধারন বিধান হচ্ছে প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক রুমে শয়ন করবেন।এটাই সতর রক্ষার সর্বোত্তম পদ্ধতি।

হ্যাঁ, যদি কখনো এক রুমে দু'জনের থাকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এক্ষেত্রে একই রুমে দুই বা ততধিক সমলিঙ্গ তথা শুধু পুরুষ বা শুধু মহিলা একত্রে ঐ শর্তে থাকতে পারবেন যে,প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক তোষক/লেপ থাকবে এবং একই তোষকের নিচে একাধিক পুরুষ বা একাধিক মহিলা রাত্রিযাপন করা মাকরুহে তানযিহি।তবে বিপরীত লিঙ্গ কয়েকজনের রাত্রিযাপন একই বিচানায় কখনো জায়েয হবে না।এমনি তারা পরস্পর মাহরাম হলেও জায়েয হবে না।এবং পৃথক পৃথক তোষক থাকলেও জায়েয হবে না। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/10091/?show=10091#q10091


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...