আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,334 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
closed

আসসালামুআলাইকুম ভাই ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা কি হালাল?? যতটুকু জানি এটা মূলত হালাল কিন্তু হারামের সাথে সম্পৃক্ত হলে ঐ উপার্জন হারাম হয়।। ভাই, মেহেরবানি করে এই উপার্জন কী কী কারণে হারাম হয় তার মূলনীতিটা একটু বলে দেন।। জাযাকাল্লাহু খাইরান।।

closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

 আদিকাল থেকেই মানষ পরিশ্রম করে রোজগার করছে।আয়-রোজগার করে দিনাতিপাথ করছে।আপনি আয়-রোজগার করবেন,চায় ব্যবসার মাধ্যমে হোক অথবা পরিশ্রমের মাধ্যমে হোক। এটাই স্বাভাবিক। এক হাদীসে পরিশ্রম করে রোজগার করা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ- 
 হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দিকারুবা রাঃ থেকে বর্ণিত
 عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " «مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ، وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ» " 
 রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃনিজ হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাদ্য কেউ কখনো আহার করেনি।এবং আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন থেকেই আহার করতেন। মিশকাত২৭৫৯, সহীহ বুখারী: (১৯৬৬/২০৭২) 

 অনলাইনে দেশী-বিদেশী যে কোনো কম্পানি বা ক্লায়েন্টের সাথে পারিশ্রমিক নির্ধারণ পূর্বক আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে কোন হারাম কাজ হতে পারবেনা। যেমন সুদী কম্পানি বা মদ,জোয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত কম্পানি বা ছবি আকার কাজ হতে পারবেনা। বিশেষ করে ছবির দিকটি লক্ষ্যণীয়,যে কোনো কিছুতেই এখন ছবি হিরিক পড়েছে। এই ছবি আকার কাজ সহ নানাবিধ হারাম কাজ আপনি করতে পারবেন না। ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ- 
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
 عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ ) 
 তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে) সহীহ বুখারী -৫৬১৮

 ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই। সহীহ বুখারী- ২২২৫। 

 লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত হল, মূল্য /বা পারিশ্রমিক নির্ধারণ হওয়া। কাজ করার পর যদি কম্পানি বা ক্লায়েন্ট আপনাকে পারিশ্রমিক দেয় না।তাহলে সে গুনাহগার হবে, এতে আপনার কিছু যায় আসে না। বরং জায়েয কাজ হলে আখেরাতে আপনি আপনার পূর্ণ হক্ব পাবেন। সুতরাং হারাম কাজ থেকে বেছে থাকা এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণী হওয়ার শর্তে ফ্রীল্যান্সিং পেশা জায়েয আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি এই ভাবে প্রাণহীন বস্তুর, প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকে ইউটিউব ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপার্জন করি। তাহলে এইটা হালাল?
by (597,330 points)
যদি তাতে অন্য কোনো হারাম জিনিষ না থাকে তাহলে জায়েযই হবে।
by
Assa vai Youtube ee to onek somoy filtar kore ad use korar por oo nana haram ad orthat music jukto ar pordahin narir sobi ashte pare tahole youtube er uparjon ki halal?
by (1 point)
হযরত,  ক্লায়েন্ট যদি আমাকে পুরুষ/মহিলা কারও ছবি দেয় যা তার ওয়েবসাইটে থাকবে তখন কি কি ছবি ব্যবহার জায়েজ হবে?     
by
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়া-বারাকাতুহ্। 
রাস্তায় আমরা অনেক পোষ্টার কিংবা অহরহ কাগজ ফেলা থাকে। এগুলোর মধ্যে ইসলামিক লিখা থাকে । যেমন : *পবিত্র আল্লাহ্ পাক এর নাম , পবিত্র কোরআন শরীফ এর আয়াত শরীফ পবিত্র মোহাম্মাদ (সা:)  এর নাম* ইত্যাদি *বাংলায়* পোষ্টারে লিখা থাকে।
এক্ষেত্রে আমরা রাস্তায় হাটতে প্রতিনিয়ত পাই। 
প্রশ্ন হলো: যদি ইসলামিক নাম ওয়ালা কাগজ নিজ চক্ষুতে দেখা এবং খেয়াল থাকার পরও যদি কেউ রাস্তা থেকে যদি না সরিয়ে রাখে (যাতে মানুষের পা, না পড়ে) এক্ষেত্রে ওই বিষয়ে জ্ঞান থাকা উক্ত ব্যক্তির কোনো বড় ধরনের গুনাহ হবে কি না?
আর বাজার রাস্তাঘাটে আমি যাই,,তখন অনেক বেশী ফালানো অবস্থায় দেখি। এমনকি যতটুক সম্ভব আল্লাহর হুকুম হইলে তুলে ফেলি।
প্রশ্ন অনেক ক্ষেত্রে আমার নিজের জানা শোনা সত্তেও অনেক গুলি রাস্তায় পড়ে থাকে ,আর তুলতে পারি না ঈমানি দুর্বলতার কারনে,(তবে যতদুর সম্ভব তুলি আল্লাহর হুকুম হলে)
এই যে বাকি গুলা যে তুল্লাম না,এজন্য অবশ্যই নিজেকে অপরাধী মনে করি!
কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে "আমি যে আরোও অনেক পবিত্র কাগজ তুললাম না, বা লোকলজ্জার কারনে লোকে কি বলবে!
এক্ষেত্রে নিজেকে অপরাধী ঠিকই মনে করি। কিন্তু আমার ঈমান এর সমস্যা হবে কি না?
(আমার মনে শুধু ঈমান চলে যাবে এমন ভাব আসে)

by (597,330 points)
আপানর  সাধ্যানুযায়ী আপনি ঐ লিখা গুলো তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন। আসল গোনহ তারই হবে, যে ঐ গুলিকে বিছিয়ে দিয়েছে বা ছিড়ে ফেলার জন্য ছুড়ে দিয়েছে।

by (597,330 points)
jewel আপনার জন্য উক্ত কাজ জায়েয হবে না। 
by (597,330 points)
Takrim Noor Hamim  ইউটিউব উপার্জন হারাম। 
by
বাস্তবিক ছবি আকা আর ইন্টারনেটের ছবির হুকুম এক না। কারণ সেটা চাইলেই ঢেকে ফেলা যায়। আর অনেক কারণ আছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...