বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) তাওবাহ কবুল হওয়ার জন্য সরাসরি গোনাহকে পরিত্যাগ করা শর্ত।সেই বৈধ কাজ যা করলে মানুষ গোনাহের দিকে ধাবিত হতে, প্রত্যেক তাওবাহকারীর উচিৎ,সেই বৈধ কাজকেও পরিত্যাগ করা। তবে যদি কেউ পরিত্যাগ না করে,তাহলেও তার তাওবাহ কবুল।
https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)
(২)
শুধু তাওবাহ করলেই হবে।
(৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শিরক হবে না।কেননা এখানে আপনি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা দেওয়ার নিয়তে মাথা নত করেননি।আর শিরক মূলত এটাই যে, আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সম্মাণ প্রদর্শন বা কোনো জিনিষের ইবাদত করার মানসে মাথা নত করা।
(৪)
তার উচিৎ ছিল, ঈমানের কারণে বেশি খুশী হওয়া। বন্ধুদের জন্য এভাবে খুশী হওয়া যদিও উচিৎ নয়,তবে সে কাফির হবে না।
(৫)
শিরকের পর সাথে সাথেই তাওবাহ করা ওয়াজিব।