আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
352 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালমুআলাইকুম , কিছু দিন ধরে  আমি একটা প্রশ্ন নিয়ে কষ্টে আছি । দৈনদিন জীবনে চলার পথে আমরা অনেক জিনিস ব্যাবহার করি যা অন্য কারোর হয়ে থাকে । তাদের কাছে অনুমতি চাওয়া প্রয়োজন মনে করি না বা অনুমতি চায় না । যেমন হতে পারে কারো কলম বা কারো তালা বাসন ইত্যাদি ।
এই সব জিনিস অনুমতি ছাড়া নেওয়া কি টিক হচ্ছে ? আমরা কি অন্যের হক নষ্ট করছি ?

এই প্রশ্ন করার একটা কারন আছে । আমি একদিন বাংকে গেলাম টাকা নেওয়ার জন্যে । তখন আমার একটা সাইন লাগবে বললে আমি ওদের একটা টেবিলে পরে থাকা কলম নিয়ে সাইন করে পেলি । তখন মনের ভিতর এই প্রশ্ন আসতেছে যে আমি অন্যের হক নষ্ট করছি বা অন্যের জিনিস অনুমতি ছাড়া নিলাম । যা আমার গুনাহ এর কারণ ।

এর পর থেকে আমার নামাজে বা অন্য কোনো ভাল কাজে মন সায় দিচ্ছে না । আল্লাহ এর সাথে দোয়া করার সময় চুরের মত লাগে ।
এখন আমি কি করবো ? ওনার কাছে গিয়ে মাপ চেয়ে আসব ?

অনেক হক  কি জিনিস  ত একটু পরিষ্কার করে দিনে দয়া  করে ।।।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অন্যকারো যৎ সামান্য জিনিষও তার অনুমোদন ব্যতিত ব্যবহার করা জায়েয হবে না। তবে কোনো জিনিষ সম্পর্কে কারো মৌন অনুমোদন থাকলে,তখন অবশ্যই সেই জিনিষের ব্যবহার জায়েয হবে। আপনার বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু আপনি ব্যাংকের কলম ব্যবহার করেছেন, তাই তা নাজায়েয হবে না।কেননা ব্যাংককে তো জনগণের সেবার নিমিত্তেই তৈরী করা হয়েছে।এবং তার ব্যবহারের মৌন অধিকার থাকেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...