আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
closed by
আস্সালামুআলাইকুম,
মুফতি সাহেব হুজুর। আমার প্রশ্ন বিবরণ সহ লিখছি।

স্ত্রীর কোনো এক কাজে মনে অনেক কষ্ট পেয়ে তাকে জানাই, "বাচ্চাদের কারণে আমি তালাকের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, কিন্তু তোমার জন্য আজকে থেকে আমার কোনো আন্তরিকতা নাই, আন্তরিকতা থেকে তালাক।"

ধর্মীয় কিতাবে কোনো এক সাহাবীর জিহাদের এক ঘটনায় পেয়েছিলাম, তিনি নিজের নফ্সকে সম্বোধন করে এই ধরনের বলছিলেন, "কিসের ধোকায় তুই আজ জিহাদের ময়দানে সঙ্গীদের পিছে ? দুুুুনিয়ার মোহাব্বতে ? তাহলে দুুুুনিয়াকে তিন তালাক।" এই রকম আরো অনেক জায়গায় তালাক শব্দের এমন রূপক অর্থে প্রয়োগ দেখেছিলাম। এতে 'তালাক' শব্দ "বিবাহ-বিচ্ছেদ" ছাড়াও "পরিহার করা, ত্যাগ করা, বাদ দেয়া, মোহো ভেঙ্গে ফেলা, ছিন্ন করা ইত্যাদি" অন্য অনেক অর্থে ব্যবহার হতে পারে এমন ধারণা আমার মনে জায়গা পায়।
তাই আমি স্ত্রীর ক্ষেত্রেও "আন্তরিকতা পরিহার করছি" না বলে রূপক অর্থে "আন্তরিকতা থেকে তালাক" বলি।

তাছাড়া, আন্তরিকতার ক্ষেত্রে স্বামীর কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই বলে আমি জানতাম।

এই ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পরে আবার স্ত্রীর কাছ থেকে মনে অনেক কষ্ট পেয়ে আবার একই কথা বলি। তবে এইবারের ভাষা ছিল, "মনে মনে তো অনেক আগেই ডিভোর্স দিয়েছি, বাচ্চাদের জন্য আসল ডিভোর্স দিতে পারছি না অথবা দিচ্ছি না।" মনের ভিতর কষ্ট কতটুকু পাচ্ছি সেই মাত্রা বুঝাতে গিয়ে কথাগুলো কয়েকবার বলতে থাকি।

এই ঘটনায় 'মনে মনে ডিভোর্স' বলে "মনের ভালবাসা ত্যাগ" করা বা আন্তরিকতা ত্যাগ করা" এবং 'আসল ডিভোর্স' বলে "বিবাহ-বিচ্ছেদ" বুঝাতে চেয়েছিলাম।

বর্তমানে অনলাইনে তালাক বিষয়ে কিছু লেখা পড়ে সন্দেহ হচ্ছে স্ত্রীর ক্ষেত্রে "তালাক বা ডিভোর্স" শব্দের অর্থ "বিবাহ-বিচ্ছেদ" ছাড়া অন্য কোনো অর্থ আদৌ গ্রহণ করা যায় কী-না !

রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিলে তালাক হয়ে যায়, এমনকি একসাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাকও হয়ে যায়, তা জানতাম। তাই সবসময় তালাক যেন দিয়ে না বসি বা তালাকের সিদ্ধান্ত যেন নিয়ে না ফেলি সেই বিষয়ে সতর্ক ছিলাম। কিন্তু স্ত্রীর ক্ষেত্রে "তালাক" বা "ডিভোর্স" শব্দের অর্থ "বিবাহ-বিচ্ছেদ" ছাড়া অন্য কোনো অর্থ হয় না এমনটা জানা ছিল না। জানলে অবশ্যই তা পরিহার করে মনের ভাষা প্রকাশ করতাম, কারন উপরে বর্ণিত উভয় ঘটনাতেই আমার স্ত্রীর সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদের কোনো সিদ্ধান্ত বা সেইরকম খেয়াল ছিল না, যা উভয় ঘটনার সময়ই আমার স্ত্রীকে আমি স্পষ্ট জানিয়েছি।

দয়া করে উপরের বর্ণনা বিবেচনা করে শরঈ সমাধান জানাবেন।
closed

1 Answer

0 votes
by (712,880 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমবার বলেছিলেন,
"বাচ্চাদের কারণে আমি তালাকের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, কিন্তু তোমার জন্য আজকে থেকে আমার কোনো আন্তরিকতা নাই, আন্তরিকতা থেকে তালাক।"

এবং দ্বিতীয়বার বলেছিলেন,
 "মনে মনে তো অনেক আগেই ডিভোর্স দিয়েছি, বাচ্চাদের জন্য আসল ডিভোর্স দিতে পারছি না অথবা দিচ্ছি না।"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার উক্ত দুনু কথাতেই তালাক শব্দের ব্যখ্যা উল্লেখসহ আপনি তালাক শব্দ ব্যবহার করেছেন।
যেহেতু তালাক শব্দকে তার রূপক ব্যখ্যা সহ একসাথেই আপনি তালাক শব্দকে ব্যবহার করেছেন, তাই তালাক হবে না।
তবে ভবিষ্যতে আপনি এরকম স্পর্শকাতর বিষয় থেকে  হরহামেশা নিজেকে বাচিয়ে রাখবেন।

https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...