ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সুতরাং যিহার হল, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নিজ মাহারাম
মহিলা বা তার অঙ্গের সাথে তুলনা করা।
আবার স্ত্রী এমনটা বললে
যিহার হবে না। যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা
স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না এবং
কাফফরা ও আসবে না। এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত। তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা
অনাদায়ের কথা বলেছেন।
আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭; ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০
যিহারের কাফফারা হল,
كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের
কাফ্ফারা একিই। তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।
যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা
রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে
হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা'
আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে। {ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/102
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তুলনা পাওয়া যায়নি, যার ফলে যিহার হবে না। যদি এভাবে বলতো যে, তোমার বা আমার
বউয়ের স্তন আমার মায়ের স্তনের মত, তাহলে তুলনা হতো। তবে পরবর্তীতে এ জাতীয়
কথা বলা থেকে বিরত থাকবে।
২. স্বামী যদি কেনায়া তালাকের নিয়তে বলে
তাহলে কেনায়া তালাক হবে, অন্যথায় নয়। আবার তালাকের নিয়তও পাওয়া
যেতে হবে।
স্বামীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, তার তালাকের নিয়ত ছিলো কি না।