আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থার সময় স্ত্রীকে বলে, কি অদ্ভুত ব্যাপার, ছোটবেলায় মার দুধ পান করেছি, এখন বউএরটা suck করছি, তাহলে কি যিহার হবে?  হলে করনীয় কি?

২.ঝগড়ার সময় স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তোমার এখানে ভাল না লাগলে যেখানে ভাল লাগে সেখানে চলে যাও - এরকম কথায় এক কেনায়া তালাক পতিত হবে কিনা?  উল্লেখ্য, এই কথা বলার সময় তালাক দেয়ার নিয়ত স্বামীর ছিল কিনা তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সুতরাং যিহার হল, স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার  অঙ্গের সাথে তুলনা করা।

আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না। যেমনঃ

(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.

মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না এবং কাফফরা ও আসবে না। এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত। তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।

আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭; ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০


যিহারের কাফফারা হল,

كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة

রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই। তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক। যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে। {ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫} বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/102

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তুলনা পাওয়া যায়নি, যার ফলে যিহার হবে না। যদি এভাবে বলতো যে, তোমার বা আমার বউয়ের স্তন আমার মায়ের স্তনের মত, তাহলে তুলনা হতো। তবে পরবর্তীতে এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকবে।

২. স্বামী যদি কেনায়া তালাকের নিয়তে বলে তাহলে কেনায়া তালাক হবে, অন্যথায় নয়। আবার তালাকের নিয়তও পাওয়া যেতে হবে।

স্বামীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, তার তালাকের নিয়ত ছিলো কি না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...