জ্বীনের সমস্যায় মযী নির্গত হওয়া,সালাত হবে কিনা জানতে চাই

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

এক বোন আশীক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত।রুকইয়্যার দ্বারা জ্বীন আওরাহতে থাকার আলামত পাওয়া গিয়েছে। তো এই সমস্যায় আক্রান্ত থাকার কারণে "বোনটার এক আধটুতেই মযী নির্গত হয়। বোনটা যথাসাধ্য নজরের হেফাজত করে চলে। কিন্তু জ্বীনের সমস্যা থাকায়,বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক আলাপচারিতায় ও তার ওপরে উল্লিখিত সমস্যা হচ্ছে।  স্বলাতের জন্য ওযু করার পরও বারবার একই সমস্যা হচ্ছে । এমতাবস্থায় স্বলাতের শেষে সে যদি আওরাহ হালকা ভেজা পায়,তাহলে কি তার স্বলাত হয়েছে নাকি হয়নি?

যাজাকুমুল্লাহু খইরন

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারতেছি যে, এটা আপনার ওয়াসওয়াসা ও মনস্তাত্ত্বিক রোগও হতে পারে আবার জ্বীন সমস্যার কারণে বা ভিন্ন কোনো কারণে মযি নির্গত হতেও পারে।। সুতরাং যতবার মনে হবে যে, মযি বের হয়েছে ,ততবারই কাপড় ও শরীর ধৌত করা পূর্বক আপনি অজু করে নিবেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
যেহেতু এই মযি সর্বাবস্থায় বের হয়না, বরং রসিক আলাপচারিতার মূহুর্তেই বের হয়ে থাকে, তাই আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে না। যতবারই লজ্জাস্থানে মযি আসবে,ততবারই লজ্জাস্থানকে পরিস্কার করতঃ অজু করে নিতে হবে। যদি এই মযি নিয়ে নামায পড়া হয়, তাহলে নামাযই হবে না।