আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু 'আলাইকুম

(বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত , তাই এখানে দ্বীনের দাঈ যারা উত্তর প্রদান করে থাকেন , প্লিজ আল্লাহর অনুমতিতে আমাকে সহযোগিতা করবেন!!)

আমরা যে ফ্লাটে থাকি , সেটা ঔ বিল্ডিং এর দোতলার এবং মেইন রাস্তা সংশগ্ন ফ্ল্যাট । আশে পাশের হোটেল এর চালা থেকে খুব সহজেই একটা বা দুইটা বিড়াল বারান্দার পথ ধরে আমাদের বাসার ভিতর ঢুকে যায় সচরাচর । তো আমি আমার জানা অনুযায়ী বিড়াল যেহেতু পবিত্র প্রাণী আর একে কষ্ট দেয়ার কারণে জাহান্নামি হওয়ার ঘটনা হাদিসে দেখেছিলাম (যদি আমার জানা ভুল‌ না হয়) , সেসব বিবেচনা করে আমি কখনো বিড়ালের উপর কোনোপ্রকার আঘাত করিনি , শুধু ঘরে মল/মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে নাপাক করে দিতে পারে বলে আর আমার যেহেতু পশু-প্রাণীর উপর সখ্যতা নয় বরং ভয় কাজ‌ করে এজন্য , বিড়াল ঘরৈ ঢুকে গেলে ওদের পেছনে দৌড়িয়ে তাদের বাইরের দিকে নিয়ে যাই যাতে ওরা ঘর ময়লা করতে না‌ পারে ।

এবার মূল প্রশ্নে আসি :- ২০২১ সালে একদা এক রাত্রে আমি ইশার সালাতরত অবস্থায় ছিলাম । আমি ঐ ঘরে সালাতরত অবস্থায় ছিলাম , যেখানের বারান্দা দিয়ে সচরাচর বিড়াল ঢুকে পরে । আমার মা আমার পাশের খাটে , শুয়ে ছিলেন । তো বিড়াল এরকম ঢুকে ময়লার বালতি ফেলে দেয় , হয়তো এই কারণেই যাতে আর না আসে মা উঠে ঝাড়ু নিয়ে হয়তো কয়েকটা বারি দিয়েছিলেন বিড়ালের উপর । আমি সালাম ফেরাচ্ছিলাম , ততক্ষণে টের পেয়ে আমি মাকে নিষেধ করছিলাম যাতে না মারে কখনো আর মেরেছে কেন এটাও জিজ্ঞাসাবাদ করি

আজকে আবার সেই ঘটনা বাবা ঘটিয়েছেন

আমি শুয়ে ছিলাম বিছানায় , তো আমার খাটের পাশের সোফায় একটা বিড়াল উঠে পরে , আমি কিছুটা ভয়ে আর ময়লা‌ করে দেবে এই ভেবে তাকে ধাওয়া করি (অবশ্যই আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়) যাতে বাইরে চলে যায় । কিন্তু, ঐ বারান্দা সংলগ্ন রুমটার খাটের নিচে বিড়ালটা ঢুকে পরে , আর বের হতে চাচ্ছিলো না (বলে রাখি , ওখানে মা-বাবা ঘুমান) বাবা আমার শব্দ পেয়ে ওঠেন আর বিড়ালকে বের করার জন্য একটা ঝাড়ু দিয়ে আমারই চোখের সামনে আঘাত করেন , আমি যা দেখে খুবই কষ্ট পাই ,আমি আগেও সতর্ক করেছি যাতে না মারে কিন্তু আমার কথা বাবা রাখেননি , পরে বিড়ালটা কোনো মতো দৌড়ে চলে যায়

আমি কষ্ট পেয়ে অভিমানে ওখান থেকে প্রস্থান করে নিজের ঘরে চলে আসি
আমি ভাবছি তারা দুজনে এরূপ কাজের জন্য কি গুনাহগার আর আমি কি ভাবে দুআ করে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চাইবো?

1 Answer

0 votes
by (60,180 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/4980 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 

পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে। 

হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) (শেষ)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. নিজে কোনো বিড়াল লালন পালন করে বেঁধে রাখলে এবং খাবার না দিলে গোনাহ হবে। যার জন্য কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তবে যদি বাহির থেকে কোনো বিড়াল আসে, এবং সেটাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়, তাহলে এই তাড়ানোর জন্য হাদীসে বর্ণিত শাস্তি প্রযোজ্য হবে না। তবে প্রহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

হ্যাঁ, এটা অবশ্যই উত্তম ও সওয়াবের কাজ যে, সামর্থ্য থাকলে যেকোনো প্রাণীকে খাবার দেওয়া।

২. পিতা মাতাকে বুঝাবেন যে, কোন প্রাণীকে অযথা মারধর করতে নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদদুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...