আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
আচ্ছালামু আ'লাইকুম ভাই, তাবলীগের গাস্তের আদব বলার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিহাদের ফাজায়েল বলা হয়। এই ফাজায়েল বলার পর অনেকেই ওই ফাজায়েল গুলো গাস্তে যাওয়ার সময় সেও ওই পুরুস্কার গুলো পাচ্ছে। এখন,

১. এই জিহাদের ফাজায়েল গুলো গাস্তের আদব বলার সময় বলা যাবে কিনা?
২. না বলা গেলে কোন ফাজায়েল গুলো গাস্তের আদব বলার সময় বলা হবে তা যদি উল্লেখ করেন।

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তাবলীগের গাস্তের আদব বলার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিহাদের ফাজায়েল বলা হয়। 
কিছু হাদীসের রেফারেন্স দিয়েও বলা হয়,যেমন একটি হাদীসঃ-

হাদীস শরীফে এসেছে  

عن خريم بن فاتك : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من أنفق نفقة في سبيل الله كتبت له بسبعمائة ضعف

অনুবাদ-হযরত খুরাইম বিন ফাতেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু খরচ করে তা তার আমলনামায় ৭ শত গুণ হিসেবে লেখা হয়।

(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৬২৫
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৬৪৭
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৫
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯০৩৬
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২২৭
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৭৭০
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২৯৪)
,
উক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে জিহাদের ফাজায়েল সম্পর্কে। 
,
★এই জীহাদের হাদিসগুলো কি দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কিনা এই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
,      
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন যে প্রচলিত তাবলীগের ব্যপারে এসব হাদীস দিয়ে দলিল দেওয়া যাবেনা।
এটি জিহাদের সংজ্ঞায় পড়েনা, 
তাই তাবলীগে উক্ত ফাজিলত পূর্ণ হাদীস বলা যাবেনা।

দাওয়াত মূলক অনেক হাদীস আছে,সেগুলো বলতে হবে।
,  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে  বর্তমান যামানায় দীনের প্রচার-প্রসার ও বে-দীনীর প্রতিরোধ তাবলীগের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর হচ্ছে। অন্যদিকে জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হচেছ আল্লাহর কালিমা বূলন্দ করা এবং আল্লাহর দীন প্রতিষ্টা করা। কাফের হত্যা করা, বে-দীনের খতম করা জিহাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বরং তারা আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পথে বাধা, তাই বাধা দুর করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে তাদেরকে খতম করা ফরজ করা হয়েছে। 

সেই প্রেক্ষিতে জিহাদের যে মূল লক্ষ্য, দা‘ওয়াত ও তাবলীগের সেই একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। উক্ত লক্ষের বাস্তবায়নের জন্যই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী দীনের দা’ওয়াত নিয়ে তাবলীগের নামে সমগ্র বিশ্বে ঘোরাফেরা করা হচ্ছে। সে জন্য জিহাদের ব্যাপারে যে সব ফজীলত বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো তাবলীগের ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবো।

এখানে প্রশ্নে উল্লেখিত সওয়াব গুলো আসলে জিহাদের ফজীলতের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, তথাপিও সেগুলো তাবলীগের ব্যাপারে বয়ান করতে কোন অসুবিধা নেই। এ ব্যাপারে হক্কানী উলামায়ে কিরাম ঐক্যমত পোষণ করেন। 
এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মত।     

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (58 points)
কিন্তু হুজুর এতে কি দ্বীনের অপব্যাখ্যা হবে না? সাঈদ আহমাদ পালনপুরী রহ হুযুরও এই বিষয়ে নাকি নাজায়েজ ই বলতো। আর এটা যেহেতু সন্দেহমূলক বিষয় আর জায়েজ বলার দ্বারা তাহরিফ হওয়ায় সুযোগ রয়েছে তাহলে সতর্কতাই কি কাম্য নয়?  উত্তর দিয়েন সুযোগ করে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...