আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

ঘটনাটি কয়েকদিন আগের।তো টয়লেটের সামনের ফ্লোরটি সিমেন্ট ঢালাই করা,অমসৃণ,রেড অক্সাইড রং দিয়ে রং করা।তো টয়েলেটর গেটের নিচের ফ্লোরটিতে একদিন সকালে খুবই ক্ষুদ্র আর সামান্য কয়েক ফোটা পেশাব টয়লেটের ভিতরের ফ্লোর থেকে ছিটকে এসে পড়ে।তো আমার আবার কাপড় নষ্ট ছিল।তাই টয়লেট সেরে কাপড় পাক করে বের হতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মতো লেগেছিল।তো ফ্লোরটি আগে থেকে শুকনো ছিল তাই এত ক্ষুদ্র পেশাব দেখা গেছে।তো বের হওয়ার সময় ফোটাগুলো আর দেখিনি বলে মনে হচ্ছে অর্থাৎ মনে হচ্ছে যে ফ্লোরটি শুকিয়ে গিয়েছিল।আর এত ক্ষুদ্র ফোটা শুকাতে বেশি সময় লাগার কথা না।কিন্তু এখন আবার মনে সন্দেহ হচ্ছে যে ফোটাগুলো কি শুকিয়ে গেছিল কি না।কারন তেমন গভীর পর্যবেক্ষণ তখন করিনি।কেবল সামান্য চোখ বুলিয়েছিলাম।তো এখন আসল সমস্যায় আসি।এখন যদি ফোটাগুলো না শুকিয়ে থাকে তাহলে তো আমার পরে যে গিয়েছিল সে সেই জায়গায় ভেজা জুতা নিয়ে পা রেখেছে আবার সে জুতা টয়েলেটের বাইরের ভেজা পাপোসে মুছে সে ঘরে গেছে সামান্য ভেজা পা নিয়ে।আবার আমাদের টয়লেট হলো সাধারণ ফ্লোর থেকে এক্টু উচুতে।তাই পাপোস বেশি ভিজে গেলে তা থেকে পানি চুইয়ে ফ্লোরে পড়ে।সেই ফ্লোরের ভেজার জন্য যদি পা নাপাক হয় তাহলে তো সে নাপাক পায়ের কারনে অন্যান্য ফ্লোর,বিছানা, কাপড় অর্থাৎ সবকিছুকে নাপাক মনে হচ্ছে।এখন কি করবো বুঝতেছিনা না।

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,

যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....

ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)

ভাবার্থঃপূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(আল-আশবাহ ওয়ান নাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য) 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় যেহেতু আপনার মনের ধারনা মাত্র,আপনি এ সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
এখানে সেই পেশাব আরেকজন প্রবেশের পূর্বে   শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। 
পরের জন কতক্ষন পরে প্রবেশ করেছিলো,বিষয়টি অনিশ্চিত। 
এটিরও সম্ভাবনা রয়েছে যে সেই ব্যাক্তির জুতায় নাপাকি লাগলেও সেটি ধুয়ে বের হয়েছে,সাধারণত অনেকেই সেখান থেকে বের হওয়ার সময় জুতা সহ পা ধৌত করে।
,
সর্বপরি বলা যায় যে এটি কেবল নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে নাপাক বলা হচ্ছে।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ফ্লোর,বিছানা, কাপড় সব কিছুকেই পাক ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 390 views
...