আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আমি সকালে ভাত খাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই ভাবতে ভাবতে মাথায় চলে আসলো, "আমি যদি বিয়ের প্রথম দিন শশুর বাড়িতে প্রথম দিন (প্রথম দিন মনে হয় উল্লেখ করেছিলাম) আলুর ভর্তা দিয়ে না খাই তাহলে বিয়ের পর ৩ তালাক হয়ে যাবে।" আমি তো তখন ভাত খাচ্ছিলাম তাই মুখ ও জিহবা নড়ছিল। ভাত চিবিয়ে খেলে তো মুখ ও জিহবা নড়বেই। কি করবো আমি? হঠাৎ করেই এমন হয়ে গেছে। ইদানীং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাচ্ছে। পরিত্রাণের উপায় কি?

১. আমি বিয়ে করলে কি তালাক হয়ে যাবে? যদি তালাক না হয় এর পেছনে কি কি যুক্তি আছে? আমি বিয়ে করিনি।

২. আমি যদি বিয়েই না করি তাহলে কি গুনাহগার হবো?

৩. ধরুন আমার অনেকগুলো শর্তযুক্ত তালাক দেওয়া আছে। আর আমি সেগুলো ভেঙে ফেলেছি কি না আমি নিশ্চিত নয়। সতর্কতার জন্য আমি কি নিম্নোক্ত উপায়ে বিয়ে করতে পারবোঃ-

“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন শর্ত ভেঙ্গে ফেললেও কোন তালাক পতিত হবে না।

ক) আমি যদি কোন মেয়েকে পছন্দ করি বিবাহের এরুপ শর্তের কথা আমি কি তাকে নিজে বলবো নাকি অন্য কেউ বলে দিবে?

খ) আমি যদি উক্ত পদ্ধতিতে প্রথমে গোপনে বিয়ে করি এরপর প্রকাশ্যে বিয়ে করি তাহলে কি বউ তালাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি বিবাহ করলে তালাক হবেনা।
কেননা আপনি মনে মনে শর্তযুক্ত যুক্ত তালাক দিয়েছেন। 
কানে আসার মতো উল্লেখিত পুরো শর্তের আওয়াজ হয়নি।
মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয়না।
 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি নিশ্চিন্তে বিবাহ করতে পারেন।
তালাক হবেনা।      

(০২)
https://ifatwa.info/14305/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  

‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2276

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই
অবস্থাভেদে বিয়ে করা ফরয,ওয়াজিব,সুন্নত ও হারাম হয়। 
বিয়ে না করলে যে গোনাহ হবে বিষয়টা মূলত এমন নয়, তবে বিয়ে না করে হারামে পতিত হলে বা গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থাকলে বিবাহ না করা অবশ্যই গোনাহ হবে।

(০৩)
হ্যাঁ এভাবে বিবাহ করতে পারেন।
,
ক,
আপনি নয়।
৩য় কেহ বলবে।

খ,
না,এতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...