আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
কালেমা তাইয়্যেবাহ লিখা আংটি ছেলেরা সব সময় এর জন্যে পরতে পারবে কি? আর যদি অনুমতি থাকে তবে ওয়াসরুম এ যাবার সময় কি খুলে পকেটে রাখলে হবে নাকি বাহিরে দূরে রাখতে হবে?

আমি একটি আংটি ব্যাবহার করতে চাইছিলাম।ইসলাম যদি অনুমতি দেয় ত আমি ব্যবহার করব ইংসা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9237/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো পুরুষদের জন্য স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা জায়েজ নেই এবং শুধু পাথরের আংটি ব্যবহার করা জায়েজ নেই। তবে রুপার আংটির মধ্যে পাথরের ব্যবহার থাকলে সেটি কোনো সমস্যাকর নয়। জায়েজ আছে।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144012200903 নং ফতোয়া,এবং দারুল উলুম দেওবন্দ এর 8829 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ وَأَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَنَسٌ قَالَ كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَرِقٍ فَصُّهُ حَبَشِيٌّ

কুতায়বা ইব্ন সাঈল (রহঃ) .... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটিটি ছিল রূপার তৈরী এবং উহার পাথর ছিল হাব্শ দেশের আকীক পাথরের।

(আবু দাউদ ৪১৬৮)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِضَّةٍ كُلُّهُ فَصُّهُ مِنْهُ

 

আহমদ ইব্ন ইউনুস (রহঃ) .... আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটি সম্পূর্ণ রূপার তৈরী ছিল এবং তার নাগীনা (মোহরাংকিত অংশ) ও ছিল রূপার। (আবু দাউদ ৪১৬৯)

حَدَّثَنَا نُصَيْرُ بْنُ الْفَرَجِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ اتَّخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ وَجَعَلَ فَصَّهُ مِمَّا يَلِي بَطْنَ كَفِّهِ وَنَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ فَاتَّخَذَ النَّاسُ خَوَاتِمَ الذَّهَبِ فَلَمَّا رَآهُمْ قَدْ اتَّخَذُوهَا رَمَى بِهِ وَقَالَ لَا أَلْبَسُهُ أَبَدًا ثُمَّ اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ نَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ثُمَّ لَبِسَ الْخَاتَمَ بَعْدَهُ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ لَبِسَهُ بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ عُمَرُ ثُمَّ لَبِسَهُ بَعْدَهُ عُثْمَانُ حَتَّى وَقَعَ فِي بِئْرِ أَرِيسٍ قَالَ أَبُو دَاوُد وَلَمْ يَخْتَلِفْ النَّاسُ عَلَى عُثْمَانَ حَتَّى سَقَطَ الْخَاتَمُ مِنْ يَدِهِ

নাসীর ইব্ন ফারাজ (রহঃ) .... ইব্ন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সোনার আংটি তৈরী করেন এবং তিনি তার নাগীনা (মোহরাংকিত অংশ) হাতের ভিতরের দিক রাখতেন, আর তাতে খোদাই করেন “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্”। এরপর লোকেরা সোনার আংটি ব্যবহার শুরু করলে, তিনি তা দেখে নিজের আংটি খুলে ফেলেন এবং বলেনঃ আমি এটি আর কখনো পরবো না। এরপর তিনি একটি রূপার আংটি তৈরী করেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্” খোদাই করে নেন। তাঁর ইনতিকালের পর সেটি আবূ বকর (রাঃ) পরিধান করেন, তারপর উমার (রাঃ) এবং তারপর উসমান (রাঃ) সেটি পরিধান করেন। আর সেটি আরীস’ নামক কূপে পড়ার আগ পর্যন্ত তাঁর নিকট ছিল। (আবি দাউদ ৪১৭০)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ 

(الدر المختار مع حاشيته رد المحتار: 6/ 358):

"(ولايتحلى) الرجل (بذهب وفضة)  مطلقاً (إلا بخاتم ومنطقة وجلية سيف منها) أي الفضة ... (ولايتختم) إلا بالفضة؛ لحصول الاستغناء بها، فيحرم (بغيرها كحجر) ... ولايزيده على مثقال.

 (قوله: ولايتختم إلا بالفضة) هذه عبارة الإمام محمد في الجامع الصغير، أي بخلاف المنطقة، فلايكره فيها حلقة حديد ونحاس كما قدمه، وهل حلية السيف كذلك؟ يراجع! قال الزيلعي: وقد وردت آثار في جواز التختم بالفضة وكان للنبي صلى الله تعالى عليه وسلم خاتم فضة، وكان في يده الكريمة، حتى توفي صلى الله تعالى عليه وسلم، ثم في يد أبي بكر رضي الله تعالى عنه إلى أن توفي، ثم في يد عمر رضي الله تعالى عنه إلى أن توفي، ثم في يد عثمان رضي الله تعالى عنه إلى أن وقع من يده في البئر، فأنفق مالاً عظيماً في طلبه فلم يجده، ووقع الخلاف فيما بينهم والتشويش من ذلك الوقت إلى أن استشهد رضي الله تعالى عنه. (قوله: فيحرم بغيرها إلخ)؛ لما روى الطحاوي بإسناده إلى عمران بن حصين وأبي هريرة قال: «نهى رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم عن خاتم الذهب»، وروى صاحب السنن بإسناده إلى عبد الله بن بريدة عن أبيه: «أن رجلاً جاء إلى النبي صلى الله تعالى عليه وسلم وعليه خاتم من شبه، فقال له: مالي أجد منك ريح الأصنام! فطرحه، ثم جاء وعليه خاتم من حديد، فقال: مالي أجد عليك حلية أهل النار! فطرحه، فقال: يا رسول الله من أي شيء أتخذه؟ قال: اتخذه من ورق ولاتتمه مثقالاً». " فعلم أن التختم بالذهب والحديد والصفر حرام؛ فألحق اليشب بذلك؛ لأنه قد يتخذ منه الأصنام، فأشبه الشبه الذي هو منصوص معلوم بالنص، إتقاني، والشبه محركاً: النحاس الأصفر، قاموس۔ وفي الجوهرة: والتختم بالحديد والصفر والنحاس والرصاص مكروه للرجل والنساء ... (قوله: ولا يزيده على مثقال)، وقيل: لايبلغ به المثقال، ذخيرة. أقول: ويؤيده نص الحديث السابق من قوله عليه الصلاة والسلام : «ولاتتممه مثقالاً»"

সারমর্মঃ পুরুষদের জন্য স্বর্ণের আংটি  ব্যবহার জায়েজ নেই। 

 কেবলমাত্র রূপার আংটি ব্যবহার করা জায়েয আছে। তবে তা এই শর্তে যে, রূপার পরিমাণে এক মিসকালের চেয়ে কম হতে হবে।

শরীয়তের বিধান হলো পুরুষদের জন্য আংটির মধ্যে কেবলমাত্র রূপার আংটি ব্যবহার করা জায়েয আছে। তবে তা এই শর্তে যে, রূপার পরিমাণে এক মিসকালের চেয়ে কম অর্থাৎ সাড়ে চার মাশার চেয়ে কম হতে হবে। গ্রামের হিসাবে এক মিসকালের পরিমাণ হল ৪.৩৭৪ গ্রাম।(ফাতাওয়া কাযী খান ৩/৪১৩)

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/6104/?show=6104#q6104

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন?

  ছেলেরা রূপার আংটি শখের বশে যেকোনো পাথর দিয়ে বানিয়ে পড়তে পারবে। তবে রুপার পরিমান এক মিসকালের চেয়ে কম হতে হবে। কোনো কুফরী আকীদা রাখা যাবেনা। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি রুপা দিয়ে কালেমা খচিত আংটি পরিধান করে তাহলে আদব হলো, টয়লেটে প্রবেশ করার পূর্বে আংটি খুলে ফেলে বাহিরে অন্য কোন জায়গাতেও রাখতে পারে বা পকেটেও রাখতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ছেলেদের জন্য স্বর্ণ বা লোহার আংটি ব্যাবহার করা জায়েয নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...