বিসমিহি তা'আলা
১/
নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা(কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব।তবে কোনো কারণে যদি উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না,এবং নামাযকে দোহরাতে ও হবে না।
বরং নামায আদায় হয়ে যাবে।
কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩
ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।
যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ اﻟْﻔَﺼْﻞُ ﺑِﺴُﻮﺭَﺓٍ ﻗَﺼِﻴﺮَﺓٍ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﻘْﺮَﺃَ ﻣَﻨْﻜُﻮﺳًﺎ
وفي الشامية تحت قوله(و يكره..........و يتم)
ﺃَﻓَﺎﺩَ ﺃَﻥَّ اﻟﺘَّﻨْﻜِﻴﺲَ ﺃَﻭْ اﻟْﻔَﺼْﻞَ ﺑِﺎﻟْﻘَﺼِﻴﺮَﺓِ ﺇﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺇﺫَا ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻦْ ﻗَﺼْﺪٍ، ﻓَﻠَﻮْ ﺳَﻬْﻮًا ﻓَﻼَ ﻛَﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺷَﺮْﺡِ اﻟْﻤُﻨْﻴَﺔِ.
রদ্দুলমুহতার১/৫৪৭
বিঃদ্রঃ
ক্বেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার বিধান শুধুমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে। নফলের ক্ষেত্রে উক্ত বিধান প্রযোজ্য নয়।
যেমন দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭَﻻَ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﻓِﻲ اﻟﻨَّﻔْﻞِ ﺷَﻲْءٌ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚ
ভাবার্থঃ
নফল নামাযে ধারাবাহিতা রক্ষা না করে পড়া মাকরুহ নয়।
১/৫৪৭
২/
জ্বী নামায হবে।তবে প্রত্যেক রাকা'তে পূর্ণ সুরা পড়াই উত্তম।
৩/
ইচ্ছাকৃত ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ।অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।
ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৪৩২
কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৫
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ