আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
পিরিয়ড হওয়ার ৬ দিন পর্যন্ত ঠিক ভাবেই ব্লাড যায়!   ৭ম দিন সারাদিনে কোনো ব্লাড যায় না কিন্তু সামান্য লাল স্রাবের মতো হয়!  আর ৮ম দিনে লালস্রাবের মতোও কিছু হয় না, তবে সামান্য  সাদাস্রাবের মতো থাকে যা কিছুটা হলুদ! আর এই ৮ম দিনে হলদে সাদাস্রাব তা বাইরে বেরিয়ে আসে না, টিস্যু পেপার দিয়ে লজ্জাস্থানের কিছুটা  ভিতরে প্রেস করে দেখতে হয়! দেখা যায় ২/১ বেলা কিছুই নেই টিস্যু দিয়ে চেক করলেও,  আবার ২/১ বেলা পর টিস্যু দিয়ে চেক করতে গেলে সামান্য টিস্যুতে দেখা যায় যা খুবই সামান্য!
তাছাড়া ৭ম ও ৮ম দিন প্যাড জাতীয় কিছু পড়ার দরকারও হয় না! সালোয়ারে কিছু লাগে না, মানে বাইরে বেরিয়ে আসে না! একদম ভিতরের দিকে থাকে যা টিস্যু দিয়ে দেখতে হয়!  আর ৭ম দিনে সকালে টিস্যু দিয়ে চেক করে দেখি সাদাস্রাবের পানির মতো,  টিস্যুও সাদা ভেজা,  অথচ দুপুরে চেক করে দেখি সাদাস্রাব লাল বর্নের বা মেটে, আবার বিকেলেও এমন সাদাস্রাবের পানির মতো, রাতে মেটে রঙের!  এরকম হওয়ায় ৮ম দিনের সাদাস্রাব যে কিছুটা হলদে ভাব থাকে তা কি ঋতুস্রাব ভালো  হয়েছে ভেবে নিবো নাকি ভালো হয় নি ভাববো কনফিউজড থাকি!  ৮ম দিনে বাইরে কিছু বেরিয়েও আসে না, টিস্যু দিয়ে চেক করলেও কখনো কখনো শুকনো টিস্যু বের হয়, কখনো সাদাস্রাবের মতো বের হয়,  আবার দুপুরের দিকে সাদাস্রাব কিছু হলদে ভাব থাকে!  এজন্য ৮ম দিনেও পবিত্র হই না আর নামাজও পড়ি না!  আর এরকম চলতে থাকে বিধায় ৮ম দিনে কখন যে ভালো হয় বুঝতে পারি না অপেক্ষা করতে করতে! ৯ম দিনে  যেয়ে  দুপুরে ফরজ গোসল করি প্রতিবার!
পিরিয়ডের মেয়াদ ১০ দিন সর্বোচ্চ জানি! এ সম্পর্কিত মাসায়ালাগুলোও জেনেছি আলহামদুলিল্লাহ!  কিন্তু আমার এই সমস্যার সমাধান কি বুঝতে পারছি না তাই বিস্তারিত বললাম যেন বুঝতে পারেন!
দয়া করে বলবেন আমি যে ৮ম দিন সম্পুর্ন সারাদিন অপেক্ষা করে ৯ম দিন ফরজ গোসল করি এতে কি গুনাহগার হবো?? হাদিসে আছে পিরিয়ড শেষ হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র হওয়ার জন্য, কিন্তু কখন যে পবিত্র হই তা নিয়েই কনফিউজড থাকি!
জাযাকাল্লাহ খইরন!

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ""৭ম দিনে সারাদিনে কোনো ব্লাড যায় না কিন্তু সামান্য লাল স্রাবের মতো হয়।
আর ৮ম দিনে লাল স্রাবের মতোও কিছু হয় না, তবে সামান্য  সাদাস্রাবের মতো থাকে যা কিছুটা হলুদ! আর এই ৮ম দিনে হলদে সাদাস্রাব তা বাইরে বেরিয়ে আসে না, টিস্যু পেপার দিয়ে লজ্জাস্থানের কিছুটা  ভিতরে প্রেস করে দেখতে হয়""।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মোতাবেক ৮ম দিনে যেহেতু হলদে সাদা স্রাব বেরিয়ে আসেনা,তাই এটি ধর্তব্য নয়।
৭ম দিনে যখন লাল স্রাব আসা বন্ধ হয়ে যায়,ঠিক তখন থেকে আপনার হায়েজ শেষ হয়েছে ধরা হবে।
আপনি ৭ম দিন সেই সময়ে গোসল করে পবিত্র হবেন।
আর সেই ওয়াক্ত থেকেই নামাজ আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...