আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
318 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহ!

১। আমার মাথায় চুল একটু বড় হলেই কীভাবে যেন মাথায় উকুন ঢুকে যায়। আবার চুল ছোট করে ফেললে কমে যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময় ছেলেদের মত চুলও কাটা লাগে। আমি জানি ইসলামে ছেলেদের মত বেশ ধারণ করা হারাম। কিন্তু আমার যেহেতু চুল এভাবে না কাটলে উকুন থাকে ও চুলের যত্ন ঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হয় না। আবার যেহেতু আমি চুল ঢেকে রাখি তাহলে কি আমি এভাবে চুল কাটতে পারব? আমার চুল তো কেউ সেভাবে দেখছে না মাহরাম বাদে।

২। আমার জীবনে একজন দ্বীনি অভিভাবক দরকার যিনি আমাকে ও আমার ফ্যামিলিকে পরিপূর্ণ ইসলাম বাস্তবায়ন করে দেখাবেন, একেবারে সহিহ শুদ্ধভাবে এবং এমন একজন মানুষ যিনি মৃত্যু পর্যন্ত এর উপর অটল থাকবেন। এরকম মানুষ কী পাওয়া যায় এ যুগে? এর পরেও চাই ।এজন্য আমাকে কি দুয়া করতে হবে? ভার্চুয়াল অভিভাবক না, কোন ফর্মাল টিচারও না। কোন প্রতিবেশী বা পরিচিত মানুষের মধ্যে থেকেই চাচ্ছি। আজকাল মানুষের ঘরে ঘরে সাকিনাহর অভাব, ঘরগুলো যেন জাহান্নাম হয়ে যাচ্ছে। আমার জন্য প্রচুর দুয়া করবেন।
৩। ফেসবুকে ছেলেদের বন্ধু হিসেবে বা লিংকডইনে কানেকশন হিসেবে আছে, এছাড়া গুডরিডসে বন্ধু/ ফলোয়ার হিসেবে। আমি যদি তাদের সাথে কোন অপ্রয়োজনীয় চ্যাট না করি, তাহলে কি লিস্টে রাখা ঠিক হবে?

৪। আরবিতে জান্নাত-জাহান্নামকে ফারসিতে বেহেশত-দোজখ, ইংরেজিতে paradise-hell বলা হয়, বাংলায় স্বর্গ-নরক বললে কোন অসুবিধা হবে কি? স্বর্গ নরক বললে যদি গুনাহ হয় তাহলে বেহেশত-দোজখ বা paradise-hell বললেও গুনাহ হওয়ার কথা। একই কথা মালাইকাদের ফেরেশতা, angel বা স্বর্গদূত বলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, উকুন দূর করার নিমিত্তে আপনি চুল ছোট করতে পারবেন।চাঁটাই করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে গায়রে মাহরামের সামনে প্রদর্শন করতে পারবেন না।

(২)
আল্লাহ আপনার সহায়ক হোক।আপনার ফ্যামিলিকে কিভাবে উৎসাহ দেয়া যায়,জানাবেন।ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো।

(৩)
জ্বী , রাখা যাবে।

(৪)
জ্বী, বলা যাবে।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﻣُﺨﺎﻃﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻻﺻﻄﻼﺡ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻢ ، ﻭﻟﻐﺘﻬﻢ : ﻓﻠﻴﺲ ﺑﻤﻜﺮﻭﻩ ﺇﺫﺍ ﺍﺣﺘﻴﺞ ﺇﻟﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺻﺤﻴﺤﺔً ، ﻛﻤﺨﺎﻃﺒﺔ ﺍﻟﻌﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻭﻡ ﻭﺍﻟﻔُﺮﺱ ﻭﺍﻟﺘُّﺮﻙ ﺑﻠﻐﺘﻬﻢ ﻭﻋُﺮﻓﻬﻢ ، ﻓﺈﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰٌ ﺣﺴﻦ ﻟﻠﺤﺎﺟﺔ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻛﺮﻫﻪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳُﺤْﺘَﺞْ ﺇﻟﻴﻪ ….
" ﺩﺭﺀ ﺗﻌﺎﺭﺽ ﺍﻟﻌﻘﻞ ﻭﺍﻟﻨﻘﻞ " ( 1 / 43 ) .
ইসলামী পরিভাষাকে যে কোন ভাষার  ভাষায় রুপান্তিত করতে পারবে,যেমন রোম,পারস্য,তুর্কি ইত্যাদিরা ইসলামী পরিভাষাকে তাদের ভাষায় রুপান্তিত করে থাকে, এটা মাকরুহ হবে না বরং উত্তম হবে যদি তার প্রয়োজন পড়ে,প্রয়োজন অতিরিক্ত রুপান্তিকরণ ফুকাহগণ অপছন্দ করে থাকেন। (আক্বলও নক্বল-১/৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/511


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...