আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহ!
১। আমার মাথায় চুল একটু বড় হলেই কীভাবে যেন মাথায় উকুন ঢুকে যায়। আবার চুল ছোট করে ফেললে কমে যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময় ছেলেদের মত চুলও কাটা লাগে। আমি জানি ইসলামে ছেলেদের মত বেশ ধারণ করা হারাম। কিন্তু আমার যেহেতু চুল এভাবে না কাটলে উকুন থাকে ও চুলের যত্ন ঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হয় না। আবার যেহেতু আমি চুল ঢেকে রাখি তাহলে কি আমি এভাবে চুল কাটতে পারব? আমার চুল তো কেউ সেভাবে দেখছে না মাহরাম বাদে।
২। আমার জীবনে একজন দ্বীনি অভিভাবক দরকার যিনি আমাকে ও আমার ফ্যামিলিকে পরিপূর্ণ ইসলাম বাস্তবায়ন করে দেখাবেন, একেবারে সহিহ শুদ্ধভাবে এবং এমন একজন মানুষ যিনি মৃত্যু পর্যন্ত এর উপর অটল থাকবেন। এরকম মানুষ কী পাওয়া যায় এ যুগে? এর পরেও চাই ।এজন্য আমাকে কি দুয়া করতে হবে? ভার্চুয়াল অভিভাবক না, কোন ফর্মাল টিচারও না। কোন প্রতিবেশী বা পরিচিত মানুষের মধ্যে থেকেই চাচ্ছি। আজকাল মানুষের ঘরে ঘরে সাকিনাহর অভাব, ঘরগুলো যেন জাহান্নাম হয়ে যাচ্ছে। আমার জন্য প্রচুর দুয়া করবেন।
৩। ফেসবুকে ছেলেদের বন্ধু হিসেবে বা লিংকডইনে কানেকশন হিসেবে আছে, এছাড়া গুডরিডসে বন্ধু/ ফলোয়ার হিসেবে। আমি যদি তাদের সাথে কোন অপ্রয়োজনীয় চ্যাট না করি, তাহলে কি লিস্টে রাখা ঠিক হবে?
৪। আরবিতে জান্নাত-জাহান্নামকে ফারসিতে বেহেশত-দোজখ, ইংরেজিতে paradise-hell বলা হয়, বাংলায় স্বর্গ-নরক বললে কোন অসুবিধা হবে কি? স্বর্গ নরক বললে যদি গুনাহ হয় তাহলে বেহেশত-দোজখ বা paradise-hell বললেও গুনাহ হওয়ার কথা। একই কথা মালাইকাদের ফেরেশতা, angel বা স্বর্গদূত বলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।