ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
সন্তান যখন বালেগ হয়, তখন থেকেই ছেলেদের জন্য জামাতের সাথে নামায ওয়াজিব হয়।।সন্তান কখন বালেগ হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13073
https://www.ifatwa.info/1707 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)
ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জামাতের নামাযে শরীক হতে মাতাপিতা নিষেধ করলেও মাতাপিতার উক্ত নিষেধকে মানা যাবে না।
জামাতের নামায কখন তরক করা যাবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1365
নফল রোযা রাখতে হলেও মাতাপিতার বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা করা যাবে না।