ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১) নামায ফাসিদ অর্থ হল, কোনো ফরয তরক হওয়ার কারণে নামায অনর্থক হয়ে যাওয়া।
(২) ফাসিদ হয়ে যাওয়া নামাযকে স্বাভাবিক নিয়মের নামাযের মতই নামায পড়তে হবে। নিয়ত রাখতে হবে,ঐ যে নামায ফাসিদ হয়েছিল, সেই নামাযকে এখন দোহড়িয়ে পড়তেছি।
(৩) ফাসিদ হয়ে যাওয়া নামাযকে যে কোনোদিন পড়া যাবে।
(৪)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে উক্ত আয়াতকে আবার দোহড়িয়ে নিলে তথা ভূল হয়ে যাওয়া আয়াতকে দ্বিতীয়বার পড়ে নিলে নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে।
সুতরাং আপনি দ্বিতীয়বার উক্ত সূরাকে দ্বিতীয়বার পড়তে পারবেন।